সোমবার ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

চলমান সঙ্কটের সমাধান সরকারের পতন : ড. মোশাররফ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৩ জানুয়ারি, ২০২২, ১২:০৪ এএম

দেশের চলমান সংকটের সমাধান চাইলে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটাতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, দেশের ভাবমূর্তি রক্ষার জন্য এর কোনো বিকল্প নেই। গতকাল শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে জিয়াউর রহমানের ৮৬তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের (জেডআরএফ) ২২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে প্রকাশিত স্মরণিকার মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

খন্দকার মোশাররফ বলেন, শুধু স্বাধীনতার ঘোষণা নন দেশের সমৃদ্ধি ও উন্নয়নের জন্য সকল সেক্টরে অবদান রেখেছেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। দেশের বিশেষ দুটি দিন। একটি ২৫ মার্চ পাক হানাদার বাহিনীর নির্মম নির্যাতনের বিরুদ্ধে উই রিভোল্ট বলে দেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দেন তৎকালীন সেনাবাহিনীর তরুণ মেজর জিয়াউর রহমান। আজকে অনেকেই জিয়াউর রহমানকে হিংসা করেন। তার নাম মুছে ফেলার জন্য এমন কোনো কাজ নেই তারা করছেনা। যারা জিয়াউর রহমানের অবদান স্বীকার করেন না তারা মুক্তিযুদ্ধে বিশ্বাস করেনা। অন্যরা তো তখন ভারতে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছিলো। কেউ ইচ্ছা করলে ইতিহাস মুছে দিতে পারেনা। আরেকটি ঘটনা হলো ৭ নভেম্বর। সিপাহী জনতার বিপ্লব যে সংঘটিত হলো সেটা হলো ইতিহাসের আরেকটি টার্নিং পয়েন্ট। তখন দেশের ক্ষমতার পাদপ্রদীপে আবির্ভূত হয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পুনরুদ্ধার করেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। তিনি জাতিসত্তার পরিচয় দিয়েছেন। সবার ধর্মীয় স্বাধীনতা নিশ্চিত করেন।

দেশের অর্থনীতিতে আমূল পরিবর্তন আনেন। মুক্তবাজার অর্থনীতি প্রতিষ্ঠা করেন। যেখানে সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতির নামে লুটপাট চলছিল। শহীদ জিয়া দেশের হারানো গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করে বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেন।

তিনি বলেন, ২০১৮ সালের নির্বাচনে দিনের ভোট রাতে করে তারা সরকার গঠন করেছে। তারা বলে জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়েছে। আসলে প্রধানমন্ত্রী নির্লজ্জ। আজকে আমেরিকার গণতান্ত্রিক সম্মেলনে বাংলাদেশ দাওয়াত পায়নি। কারণ তারা বহির্বিশ্ব সবাই জানে বাংলাদেশে গণতন্ত্র নেই। যে দেশে গনতন্ত্র থাকেনা সেদেশে মানবাধিকার থাকেনা। তাই আওয়ামী লীগ আজ ১২ বছর ধরে গুম খুন ও মানবাধিকার লংঘন করে চলেছে। এটা হচ্ছে ফ্যাসিবাদী স্বৈরাচারী সরকারের বৈশিষ্ট্য। তারা ভেবেছিল দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে গ্রেফতার করে মানবাধিকার লংঘন করে ক্ষমতায় টিকে থাকবে। এমনকি ২০০৪ সাল থেকে তারা বিদেশে লবিস্ট নিয়োগ করেছে। তবুও তারা তাদের অপকর্ম ধামাচাপা দিতে চেষ্টা করেছে। লবিস্টরাও ব্যর্থ হয়েছে। আজকে তাদের অপকর্মের কারণে আমেরিকার ট্রেজারি বিভাগ বাংলাদেশের একটি প্রতিষ্ঠান ও কিছু কর্মকর্তার নামে স্যাংশন দিচ্ছে। তবুও তারা আমলে নিচ্ছে না। তবে এখন চারদিক থেকে সরকারের বিরুদ্ধে ওয়ার্নিং দিচ্ছে।

নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে সরকার যে আইন করেছে তা জাতির সাথে আরেকটি নাটক মন্তব্য করে ড. মোশাররফ বলেন, আমরা বলেছি আওয়ামী লীগের অধীনে বিএনপি কখনো কোনো নির্বাচনে যাবে না। কেননা আওয়ামী লীগের অধীনে কোনো নির্বাচন কমিশন সরকারের স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে না। সুতরাং এসব সংকট সমাধানে আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগের কোনো বিকল্প নেই।

জেডআরএফের নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনারের সভাপতিত্বে ও প্রকৌশলী মাহবুব আলমের পরিচালনায় এতে আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালাম, কেন্দ্রীয় নেতা প্রফেসর ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, জেডআরএফের প্রফেসর আবুল হাসনাত মো. শামীম, ডা. সরকার মাহবুব আহমেদ শামীম। উপস্থিত ছিলেন জেডআরএফের মনিটর প্রফেসর ড. মোর্শেদ হাসান খান, প্রকৌশলী কেএম আসাদুজ্জামান চুন্নু প্রমুখ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন