ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর, চরমোনাইয়ের পীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেছেন, জীবনের সর্বক্ষেত্রে আল্লাহ প্রদত্ত শরীয়ত ও রাসূলে খোদার (সা.) তরীকা অনুসরণ না করে অলী হওয়া যায় না। অনেকে মনে করেন, শুধু তসবিহ-তাহলিল ও পীর-মুরীদী করলেই অলী হয়ে যাবেন। সমাজ, রাষ্ট্র, বাণিজ্যসহ সর্বক্ষেত্রে আল্লাহ ও তার রাসূলের (সা.) জীবনাদর্শ পুরোপুরি মানতে হবে। ইসলাম শান্তি ও কল্যাণের ধর্ম মানবতার ধর্ম। ইসলামের নামে বিশৃঙ্খলা করার সুযোগ এখানে নেই। দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্যে চক্রান্ত চলছে। পূজামন্ডপে মন্দিরে হামলা, হিন্দুদের বাড়ী ঘরে হামলায় ইসলামপন্থিরা জড়িত তা প্রমাণ করতে পারেনি। তারপরও সেইসূত্র ধরে ত্রিপুরা রাজ্যে মুসলমানদের বাড়ী ঘর, দোকানপাট ও মসজিদে হামলা এবং মুসলমানদের উপর জুলুম নির্যাতন করা হচ্ছে। ওই মহলটি দেশে ইসলামী রাজনীতি বন্ধের চক্রান্ত করছে। রাসূল (সা.) এর আগমনের পূর্বে বিশ্বব্যাপী এক মহাপরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। সমাজ ও রাষ্ট্রের সকলক্ষেত্রে রাসূল (সা.) এর আদর্শ প্রতিষ্ঠা ছাড়া শান্তি আসবে না।
খুলনা মহানগরীর গোয়ালখালি জামেয়া রশীদিয়া মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে গত ২০ জানুয়ারী বৃহস্পতিবার বাদ জোহর শুরু হয়ে আজ ২৩ জানুয়ারী রবিবার বাদ ফজর অনুষ্ঠিত মাহফিলের আখেরি বয়ানে তিঁনি এসব কথা বলেন।
পীর সাহেবের আখেরি বয়ান ও মোনাজাতের মধ্য দিয়ে মাহফিল সমাপ্ত হয়। হাজার হাজার ধর্মপ্রাণ মুসল্লি তিব্র শীত উপেক্ষা করে মোনাজাতে অংশ নেন ও কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। মহান রাব্বুল আলআমীনের দরবারে দু হাত তুলে ক্ষমা মার্জনা ও অপার রহমত প্রার্থনা করেন।
আখেরি বয়ানে পীর সাহেব চরমোনাই আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছিলেন আমরা মদীনার সনদে রাষ্ট্র চালাবো। কিন্তু রহস্যজনক কারণে তিনি তা ভুলে গেছেন। মদিনা সনদে বিচার ফায়সালা এবং আইন ছিল আল্লাহ এবং আল্লাহর রাসূলের। মানুষের মনগড়া আইন মদিনা সনদ স্বীকৃতি দেয় না। পীর সাহেব চরমোনাই মানুষের নাগরিক ও ভোটাধিকার সহ সকল অধিকার ফিরে পেতে হলে ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে ফিরে আসার আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটি খুলনা জেলার ব্যবস্থাপনায় তিন দিন ব্যাপী চরমোনাইর নমুনায় মাহফিলে বয়ান করেন পীর সাহেব চরমোনাই রহ. এর খলিফা ও নায়েবে আমীরুল মুজাহিদীন মুফতী সৈয়দ মোঃ ফয়জুল করিম শায়েখে চরমোনাই, হাফেজ মাওলানা আব্দুল আউয়াল, অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুস আহমদ, মুফতি সৈয়দ ইসহাক মোঃ আবুল খায়ের, আল্লামা মুফতি ফরিদ উদ্দিন আল মোবারক, চেয়ারম্যান আল্লামা খালেদ সাইফুল্লাহ, মাওলানা আব্দুল মজিদ, মাওলানা নুরুল হুদা ফয়েজী, বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটির সেক্রেটারি জেনারেল খন্দকার গোলাম মাওলা, মুফতি নেয়ামতুল্লাহ আল ফরিদী, মাওলানা আলী আজাদ, মুফতি ওমায়ের হোসাইনী, মুফতি গোলামুর রহমান, হাফেজ মোসতাক আহমেদ, মাওলানা শেখ আব্দুল্লাহ, মাওলানা মেজবাহ উদ্দিন, মুফতি রশিদ আহমদ, মুফতি আব্দুল্লাহ ইয়াহহিয়া, মুফতি রবিউল ইসলাম, মাওলানা আরিফুর রহমান, মুফতি আব্দুর রহমান।
চরমোনাই নমুনায় তিন দিনব্যাপী মাহফিলে আরো উপস্থিত ছিলেন হযরত মাওলানা ফরিদ আহমদ, মুফতি মাহবুবুর রহমান গওহরী, মাওলানা মনিরুজ্জামান, মাওলানা জাহিদুর রহমান, মুফতী ওমর ফারুক নুরী, আলহাজ্ব আব্দুল গনি জমাদ্দার, শেখ হাসান ওবায়দুল করিম, মাওলানা আব্দুস সাত্তার হামিদী, মুফতী আবু রায়হান, আলহাজ্ব মুফতি আমানুল্লাহ, অধ্যাপক মাওলানা আব্দুল্লাহ ইমরান, শেখ মোঃ নাসির উদ্দীন, হাফেজ আসাদুল্লাহ আল গালিব, আব্দুল্লাহ-আল-নোমানসহ বিশিষ্ট ওলামায়ে কেরামবৃন্দ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন