বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

চিঠি চালাচালির মধ্যেই সীমাবদ্ধ রয়েছে ঢাবির জমি উদ্ধার কার্যক্রম

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৩ জানুয়ারি, ২০২২, ৫:২৬ পিএম

চিঠি চালাচালির মধ্যে সীমাবদ্ধ রয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অবৈধ দখলে থাকা জমি উদ্ধার কার্যক্রম। রবিবার (২৩ জানুয়ারি) একাদশ জাতীয় সংসদের ষোড়শ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তরে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির দেওয়া লিখিত বক্তব্যে থেকে এ তথ্য জানা গেছে। মন্ত্রী জানান, নীলক্ষেত ও বাবুপুরা পুলিশ ফাঁড়ি এবং পরমাণু শক্তি কমিশনের দখলে থাকার ঢাবির এ নিজস্ব সম্পত্তি উদ্ধার কার্যক্রম গত ৩০ বছরে ধরে সংশ্লিষ্টদের কাছে চিঠি পাঠানো ছাড়া কোনো অগ্রগতি নেই।

এসব সম্পত্তি দখলমুক্ত করতে নতুন করে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হবে কি না তাও স্পষ্ট নয়। সরকার দলীয় সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন তার প্রশ্নে কী পরিমাণ সম্পত্তি বেদখল রয়েছে এবং তা উদ্ধারে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তা জানতে চান। জবাবে শিক্ষামন্ত্রী ডাক্তার দীপু মনি বলেন, বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নিজস্ব জমিতে নীলক্ষেত পুলিশ ফাঁড়ি, আনন্দ বাজার সংলগ্ন বাবুপুরা পুলিশ ফাঁড়ি এবং বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের পরমাণু শক্তি কেন্দ্র রয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী তার জবাবে এসব জমি উদ্ধারে যেসব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তা তুলে ধরেন।

মন্ত্রী জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকট স্থান সংকুলানের অভাব বিবেচনা করে নীলক্ষেত পুলিশ ফাঁড়ি খালি করে জায়গাটি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে বুঝিয়ে দিতে ২০০৮ সালের ২১ এপ্রিল স্বরাষ্ট্র সচিবকে অনুরোধ করা হয়। এছাড়া ২৯.৫৭ শতাংশ জমি হতে পুলিশ ফাঁড়ি সরিয়ে নিতে একই বছর ৩ জুন তৎকালীন পুলিশ কমিশনারকে বিশেষভাবে অনুরোধ জানানো হয়। তিনি জানান, বাবুপুরা পুলিশ ফাঁড়ির জায়গায় কোনো প্রকার ভবন নির্মাণ না করার বিষয়ে ২০০৫ সালের ২৯ মে পুলিশ কমিশনারকে চিঠি দেওয়া হয়। পরবর্তীতে ২০১৭ সালের ১ নভেম্বর ওই জায়গায় ছয় তলা ভবন নির্মাণকাজ বন্ধ রাখার জন্য অতিরিক্ত ডিআইজি (এস্টেট) ড. শোয়েব রিয়াজ আলমকে অনুরোধ জানানো হয়। যার প্রেক্ষিতে অবস্থানে বর্তমানে নির্মাণকাজ বন্ধ রয়েছে। পরমাণু শক্তি কমিশনের দখলে থাকা ঢাবির জমির উদ্ধার কার্যক্রম সম্পর্কে শিক্ষামন্ত্রী জানান।

মন্ত্রী আরও জানান, ১৯৯২ সালের ১ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী আণবিক শক্তি গবেষণা কেন্দ্রটি সাভারে স্থানান্তরিত হওয়ার পর পরমাণু শক্তি কমিশনের জমি ও ভবনাদি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রদান করা হবে মর্মে প্রধানমন্ত্রীর সচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ওই বছর ৩১ অক্টোবর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগের ভারপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিবকে চিঠি দেন। এরপরে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন সময় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়ে পরমাণু শক্তি কমিশনের ভূমিকা ভবনসমূহ ঢাবির নিকট হস্তান্তরের অনুরোধ করে। সর্বশেষ ২০১৮ সালের ২৭ মার্চ অতীতের সকল কার্যক্রম উল্লেখ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানায়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন