বগুড়ার শেরপুরে মোছা. মারিয়া খাতুন (১৯) নামে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার (২৩জানুয়ারী) সন্ধ্যায় উপজেলার খানপুর ইউনিয়নের শালফা গ্রামস্থ বসতবাড়ির শয়নকক্ষ থেকে ওই গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত মারিয়া খাতুন ওই গ্রামের নাজির হোসেনের স্ত্রী। পরে ময়না তদন্তের জন্য লাশ বগুড়ায় শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।
জানা যায়, বিগত তিন বছর আগে উপজেলার খানপুর ইউনিয়নের শালফা গ্রামের আব্দুল করিম আকন্দের ছেলে নাজির হোসেনের সঙ্গে পাশের বথুয়াবাড়ী গ্রামের আব্দুল মতিন ফকিরের মেয়ে মাবিয়া খাতুনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর ভালো চলছিল তাদের সংসার। সংসারে একটি মেয়ে সন্তানর রয়েছে। কিন্তু বেশ কিছুদিন ধরে টাকা পয়সা নিয়ে মেয়ে জামাই নাজির হোসেনের সঙ্গে শ্বশুরের দ্বন্দ্ব তৈরী হয়। একপর্যায়ে মেয়ের অনুরোধে আব্দুল মতিন ফকির শনিবার (২২জানুয়ারী) জামাই বাড়িতে দাওয়াত দিতে যান। এসময় জামাই নাজির তাকে অপমান করে বাড়ি থেকে বের করে দেন। এরপর বিষয়টি নিয়ে তার মেয়ে ও জামাইয়ের মধ্যে ঝগড়া হয়। এরইমধ্যে রবিবার বিকেলে নিজ শয়নকক্ষের মধ্যে মারিয়া খাতুনকে তীরের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান পরিবারের সদস্যরা। পরবর্তীতে থানায় সংবাদ দেওয়া হলে পুলিশ এসে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যান।
শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম জানান, সম্ভবত মেয়েটি পারিবারিক কলহের জেরে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন। এরপরও মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বগুড়ার শজিমেক হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্তের প্রতিবেদন হাতে পাওয়া গেলেই কেবল মৃত্যুর আসল কারণ জানা ও বলা সম্ভব হবে। এছাড়া উক্ত ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানান তিনি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন