২২ জানুয়ারি দুপুর ১২টা, নগরীর ডাক বাংলোর মোড়ে শত শত পথচারী। এর মাঝেই দুই যুবক এক স্কুল ছাত্রকে মারধর করে ছিনিয়ে নেন মুঠোফোন। কেউ কিছু বুঝার পূর্বেই দৌড়ে পালায় তাঁরা।
এই ঘটনার মাত্র দু’ দিন পূর্বে ২০ জানুয়ারি একই সড়কে ছিনতাইকারী চক্র নগদ টাকা আর মোবাইল ছিনিয়ে নেয় অন্য আরও দুই যুবককের।
চলতি বছরের মাত্র ২২ দিনে এমন আরও বেশ কয়েকটি ঘটনার অভিযোগ পাওয়া গেছে ডাকবাংলোর মোড় থেকে মাসদাইরের সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় পর্যন্ত সড়কটিতে। তবে, ভুক্তভোগীরা পুলিশের দারস্ত হয়নি বলে ছিনতাইকারীরাও আসেনি আইনের আওতায়।
শিল্প অধ্যুষিত নারায়ণগঞ্জের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক চাষাঢ়া থেকে পঞ্চবটি। সড়কটিতে দিনের বড় একটি সময় যানজট লেগেই থাকে। তাই বিকল্প হিসেবে এই পথের যাত্রীরা ডাকবাংলোর মোড় থেকে মাসদাইরের সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় পর্যন্ত সড়কটিকে ব্যবহার করেন। দু’ পাশেই রয়েছে একাধীক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, আবাসিক এলাকা, অর্ধশত খাবারের দোকান, একটি কেন্দ্রীয় ইদগাহ। সাধারণত সবসময়ই এ সড়কটি মানুষের পদাচারণে মুখরিত হয়ে থাকে, বিশেষ করে স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের চলাচলই এ সড়কে বেশি।
স্থানীয়রা জানান, বেশ কিছুদিন ধরেই ডাকবাংলোর মোড় থেকে মাসদাইরের সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় পর্যন্ত সড়কটিতে বেড়েছে ছিনতাই এর ঘটনা। চলতি মাসের শুরু থেকে এ পর্যন্ত তিন সপ্তাহে অন্তত ৪টি ছিনতাই এর ঘটনা জানা গেছে। এর বাইরেও অনেক ঘটনা ঘটে যার তথ্য অনেকেই জানান না। গত বছরেও অনেক ছিনতাই এর ঘটনা ছিল। এজন্য পুলিশের নজরদারী বাড়াতে হবে
খোজঁ নিয়ে জানা গেছে, চানমারি, চাষাড়া রেলওয়ে স্টেশন, গলাচিপা, মাসদাইর ও ইসদাইর এলাকার একাধীক ছিনতাইকারী চক্র এই সড়কের আশেপাশের বিভিন্ন স্থানেই আড্ডা গড়ে তুলেছে। আড্ডার পাশাপাশি সুযোগ পেলেই ধরে বসে স্কুল কলেজের নম্র-ভদ্র ছেলেদের, লুটে নেয় তাদের সব। ছিনতাই এর পর এদের কাউকেই আর খুঁজে পাওয়া যায় না। স্থানীয় কিছু ‘বড় ভাই’দের শেল্টারেই এসব কাজ হয় বলেও জানায় অনেকে।
২২ জানুযারি ছিনতাইয়ের শিকার ভুক্তভোগী স্কুল শিক্ষার্থী সাগর জানান, চাষাড়া থেকে বিসিকের নিজ বাড়িতে যাওয়ার পথে কলেজ রোডের মোড়ে অবস্থিত রূপায়ন এপার্টমেন্টের নিচ থেকে আমাকে মারধর করে একটি মুঠোফোন (আইফোন-৬) নিয়ে যায়। পরিবারের সদস্যদের জানালেও থানায় যাওয়া হয়নি।
এদিকে, এই ঘটনার কয়েকদিন পূর্বে ভোর সকালে জামতলা শাহিন ডাক্টারের গলির মোড় থেকে ছিনতাই হয় আরও ২টি ফোন এবং নগদ প্রায় ১৩ হাজার টাকা
ভুক্তভোগীরা জানায়, দুই ছিনতাইকারীর হাতে বিশাল দু’টি ধারালো অস্ত্র থাকায় কোন রকমের প্রতিবাদ করার সুযোগও পাওয়া যায়নি। ভোর সকালে ওই স্থানটিতে মানুষের চলাচল খুব কম ছিলো।
এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এস এম শফিকুল ইসলামে বলেন, এ বিষয়ে আমরা এখনো কোন অভিযোগ পাইনি। তবে এখন যেহেতু বিষয়টি জানতে পেরেছি, আমরা অবশ্যই ওই সড়কটিতে নজরদারী বাড়াবো।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন