শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ব্যবসা বাণিজ্য

সূচক বাড়লেও কমেছে লেনদেন

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৬ জানুয়ারি, ২০২২, ১২:০২ এএম

 সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে লেনদেনের শুরুতে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) মূল্যসূচকের বড় উত্থান হলেও শেষ পর্যন্ত তা অব্যাহত থাকেনি। দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে প্রধানসূচক বাড়লেও কমেছে অপর দুই সূচক। তবে সিএসইতে সবকটি সূচক বেড়েছে। তবে দুই বাজারেই কমেছে লেনদেনের লেনদেনের পরিমাণ।
সূচক মিশ্র থাকলেও ডিএসইতে যে কয়টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে কমেছে প্রায় তার সমান সংখ্যকের। অবশ্য এর মধ্যেই ৮ কোম্পানির শেয়ার দাম বেড়ে দিনের সর্বোচ্চ সীমা স্পর্শ করেছে। এরপরও লেনদেনের এক পর্যায়ে এই ৮ কোম্পানির শেয়ার বিক্রয় আদেশের ঘর শূন্য হয়ে পড়ে। আর্থাৎ যাদের কাছে কোম্পানি চারটির শেয়ার আছে তারা দিনের সর্বোচ্চ দামেও বিক্রি করতে চাননি।

গতকাল মঙ্গলবার ডিএসইতে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে ডিএসইতে লেনদেন শুরু হতেই প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়ে যায়। লেনদেনের আধঘণ্টার মাথায় সূচকটি ৫০ পয়েন্ট বেড়ে যায়। এতে দিন শেষ সূচকের বড় উত্থান হবে এমনটাই প্রত্যাশা করছিলেন বিনিয়োগকারীরা।

কিন্তু প্রথম ঘণ্টার লেনদেন শেষ হতেই বিক্রির চাপ বেড়ে যায়। এতে পতন হতে থাকে একের পর এক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের। ফলে দিনের লেনদেন শেষে প্রধান মূল্যসূচক কোনো রকমে ঊর্ধ্বমুখী থাকলেও পতন হয়েছে অপর দুই সূচকের।

দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ১৩ পয়েন্ট বেড়ে ৭ হাজার ৩২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক দশমিক ৯৩ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ৬১৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক আগের দিনের তুলনায় দশমিক ৩৯ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৫০৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

দিনভর ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ১১৭ কোটি ৪২ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ১ হাজার ২১২ কোটি ৮০ লাখ টাকা। সে হিসাবে লেনদেন কমেছে ৯৫ কোটি ৩৮ লাখ টাকা।

ডিএসইতে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে ১৬৪টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। বিপরীতে দাম কমেছে ১৬২টির। আর ৫৩টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। দাম বাড়ার তালিকায় স্থান করে নেওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে ৮টির শেয়ার দিনের দাম বাড়ার সর্বোচ্চ সীমা স্পর্শ করে।

এই ৮ কোম্পানির মধ্যে রয়েছে-বিডি থাই ফুড, স্কয়ার টেক্সটাইল, মতিন স্পিনিং, ইউনিয়ন ইন্স্যুরেন্স, কুইন সাউথ টেক্সটাইল, মালেক স্পিনিং, হাইডেলবার্গ সিমেন্ট এবং ন্যাশনাল টি। এই প্রতিষ্ঠানগুলোর শেয়ার দিনের সর্বোচ্চ দামে লেনদেন হলেও এক পর্যায়ে বিক্রয় আদেশের ঘর শূন্য হয়ে পড়ে।

এদিকে ডিএসইতে টাকার অঙ্কে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকোর শেয়ার। কোম্পানিটির ৮৬ কোটি ৮৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের ৪৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। ৩৬ কোটি ৩৪ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ফরচুন সুজ।

এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে-স্কয়ার টেক্সটাইল, ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকো, পাওয়ার গ্রিড, ওরিয়ন ফার্মা, অ্যাপেক্স ফুটওয়্যার, এশিয়া ইন্স্যুরেন্স এবং এসিআই।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ৮৩ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ২৫ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেওয়া ২৯৫টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৪৬টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১১৮টির এবং ৩১টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন