দাম উল্লেখযোগ্য মাত্রায় বাড়ানো গেলে ৩০ শতাংশ সেবনকারীই সিগারেট ছেড়ে দিতে চেষ্টা করবেন বলে এক জরিপ প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। রাজধানীর বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে বেসরকারি সংস্থা উন্নয়ন সমন্বয় পরিচালিত ‘তামাক পণ্যে কর বৃদ্ধির সম্ভাব্য প্রভাব’ শীর্ষক এ জরিপ প্রতিবেদনটি গতকাল বুধবার প্রকাশ করা হয়।
২০২১ সালের নভেম্বরে দেশের পাঁচটি জেলার তামাক সেবনকারী রয়েছেন এমন ৬৫০টি নিম্ন আয়ের পরিবারের ওপর এ জরিপ চালানো হয়। অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর এবং উন্নয়ন সমন্বয়ের সভাপতি প্রফেসর ড. আতিউর রহমান বলেন, তামাকের ব্যবহার কমাতে সকল তামাক পণ্যের ওপর যথাযথ কর আরোপই সবচেয়ে কার্যকর পদ্ধতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত, তবুও তামাক পণ্যের দাম বেশি বৃদ্ধি করলে ব্যবহারকারীরা আগের মাত্রায় তামাক ব্যবহার বজায় রাখতে খাদ্য বা অন্য পণ্য বাবদ ব্যয় কমিয়ে দিতে পারেন বলে অনেকে আশঙ্কা করে থাকেন, তবে সম্প্রতি দেশব্যাপী জরিপভিত্তিক গবেষণায় দেখা গেছে যে, সিগারেটের দাম বাড়ানো হলে ৭১ শতাংশ মানুষ আগের মতো সিগারেট ব্যবহার অব্যাহত রাখতে খাদ্য বাবদ ব্যয় কমাবেন না। ড. আতিউর বলেন, প্রধানমন্ত্রী ২০১৬ সালে তামাকমুক্ত দেশ গড়ার যে লক্ষ্য ঘোষণা করেছিলেন, সেখানেও তামাক পণ্যের বর্তমান শুল্ককাঠামো সহজ করার মাধ্যমে তামাক ব্যবহার কমিয়ে আনার পাশাপাশি এগুলো বিক্রয় থেকে পাওয়া রাজস্বের পরিমাণ বৃদ্ধির নির্দেশনা ছিল। সে আলোকেই আসন্ন অর্থবছরের বাজেটে সিগারেটসহ সকল তামাক পণ্যে কার্যকর কর আরোপের প্রস্তাব করছেন তামাকবিরোধী সংগঠন ও গবেষকরা।
তিনি বলেন, তামাক পণ্যের মূল্য বৃদ্ধির ফলে খাদ্য বা অন্য পণ্য বাবদ ব্যয় কমিয়ে দেয়ার সম্ভাবনা নিতান্ত কম বলে আলোচকরা অভিমত ব্যক্ত করেন। কাজেই সংসদ সদস্য, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, তামাকবিরোধী সামাজিক সংস্থাসহ সকল অংশীজনের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় তামাক পণ্যে কার্যকর কর আরোপ নিশ্চিত করার উদ্যোগ নেয়া উচিত।
আলোচনায় প্যানেল আলোচক ছিলেন সংসদ সদস্য প্রফেসর ডা. মো. হাবিবে মিল্লাত, ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী ও জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেলের সমন্বয়কারী হোসেন আলী খোন্দকার।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন