বর্তমানে করোনার যে চতুর্থ ঢেউ চলছে তা মূলত ওমিক্রন ঢেউ। করোনার বিভিন্ন ধরনের মধ্যে এই ভ্যারিয়েন্টটির মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ার ক্ষমতা রয়েছে সবচেয়ে বেশি। কিন্তু কেন? গবেষকরা এর উত্তর খুঁজতে গবেষণা শুরু করলে বেরিয়ে আসে এর আসল কারণ।
করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন ভাইরাসটি সর্বপ্রথম পাওয়া যায় দক্ষিণ আফ্রিকায়। এরপর গবেষকরা গবেষণ শুরু করলে দেখতে পান ভাইরাসটি তার স্পাইক প্রোটিনে ব্যাপক পরিবর্তন ঘটিয়েছে।
স্পাইক প্রোটিনের পরিবর্তনের কারণে ভাইরাসটি মারাত্মক রূপ ধারণ করে। ফলে এটি মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়তে পারে অচিরেই। একারণেই গবেষক, চিকিৎসক, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ সংশ্লিষ্ট সকলেই এই ভাইরাসটিকে নিয়ে সতর্কতা অবলম্বন করতে বলেছেন। বাংলাদেশসহ সব দেশেই এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। এর মূল কারণ হলো এই ভাইরাসটির স্পাইক প্রোটিনের মিউটেশন।
জাপানের গবেষকরা গবেষণা করে খুঁজে পেয়েছেন, করোনার অন্যান্য ভ্যারিয়েন্টের তুলনায় ওমিক্রন ভাইরাসটি অনেক বেশি সময় ধরে ত্বক ও প্লাস্টিকে বেঁচে থাকতে সক্ষম।
গবেষণায় দেখা গেছে, যে কোনো বস্তুতে করোনার মূল স্ট্রেন ৫৬ ঘণ্টা, আলফা ১৯১ দশমিক ৩ ঘণ্টা, বিটা ১৫৬ ঘণ্টা, গামা ৫৯ দশমিক ৩ ঘণ্টা, ডেল্টা ১১৪ ঘণ্টা বেঁচে থাকতে পারে। কিন্তু এক্ষেত্রে অন্য ভ্যারিয়েন্টগুলোর তুলনায় ওমিক্রন বাঁচতে পারে ১৯৩ দশমিক ৫ ঘণ্টা।
ত্বকের ওপর করোনার মূল স্ট্রেন ৮ দশমিক ৬ ঘণ্টা, আলফা ১৯ দশমিক ৬ ঘণ্টা, বিটা ১৯ দশমিক ১ ঘণ্টা, গামা ১১ ঘণ্টা, ডেল্টা ১৬ দশমিক ৮ ঘণ্টা টিঁকে থাকতে পারে। এই তুলনায় ওমিক্রন টিঁকে থাকতে পারে ২১ দশমিক ১ ঘণ্টা।
ফলে যে কোনো বস্তুর ওপর করোনার ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন বেশিক্ষণ ধরে সক্রিয় থাকতে পারে। ওমিক্রনে আক্রান্ত ব্যক্তির ব্যবহার্য বা স্পর্শ করা যে কোনো বস্তু যদি আপনি ৩ থেকে ৪ দিন পর ধরেন তাহলেও আপনার ওমিক্রনে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে শতভাগ। তাই বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ওমিক্রন এমন আশংকাজনকভাবে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে।##
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন