শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

হীরা চুরি ও কূটনীতিক খুনের মীমাংসা করলো সউদী আরব ও থাইল্যান্ড

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৭ জানুয়ারি, ২০২২, ১১:৩৫ এএম

চুরি হওয়া হীরা-জহরত আর কূটনীতিক খুনকে ঘিরে সউদী আরব এবং থাইল্যান্ডের মধ্যে ৩০ বছরের পুরনো এক বিবাদের অবসান ঘটেছে। প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুট জান ওচা প্রথম কোন শীর্ষ থাই নেতা যিনি ১৯৮৯ সালের পর সউদী আরব সফর করেছেন এবং ঐ ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন।

সউদী যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সাথে এক আনুষ্ঠানিক বৈঠকে এই দুই দেশ আবার কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনে একমত হয়েছে। বিবিসির ব্যাংকক সংবাদদাতা জানাচ্ছেন, নতুন করে সম্পর্ক স্থাপনের জন্য প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুটের সউদী আরব সফর ছিল এক মাইল ফলক। কারণ এই সফরের মধ্য দিয়ে দু'দেশের মধ্যে এক বিব্রতকর কেলেঙ্কারির পরিসমাপ্তি ঘটেছে।

সউদী আরবে থাইল্যান্ডের এক পরিচ্ছন্নতা কর্মী এক সউদী রাজকুমারের কাছ থেকে বহুমূল্যের গহনা চুরি করে। চুরি যাওয়া মালের মধ্যে ছিল একটি ৫০ ক্যারেট নীল হীরা। এসব মণি-মুক্তার প্রকৃত মূল্য সম্পর্কে ঐ কর্মীর কোন ধারণা ছিল না এবং সে থাইল্যান্ডে স্বল্পমূল্যে সেগুলো বিক্রি করেছিল। থাই পুলিশ চুরি যাওয়া গহনার কিছু অংশ উদ্ধার করে সউদী আরবে ফেরত পাঠায়। কিন্তু দেখা গেল এর বেশিরভাগই ছিল নকল। এরপর থাইল্যান্ডে দায়িত্বরত সউদী আরবের তিনজন কূটনীতিককে গুলি করে হত্যা করা হয়।

চুরি হওয়া হীরা-জহরতের সন্ধানে যে তদন্তকারীকে থাইল্যান্ডে পাঠানো হয়, তিনিও নিখোঁজ হয়ে যান। এই অপরাধের জন্য সন্দেহ করা হয়েছিল এমন দু'জন থাই নাগরিকও রহস্যজনকভাবে প্রাণ হারান। এই চুরির দায়ে শুধু ঐ পরিচ্ছন্নতা কর্মী এবং একজন পুলিশ অফিসারের সাজা হয়েছিল। কিন্তু ঐ নীল হীরাসহ চুরি যাওয়া গহনার বেশিরভাগের আর কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি।

থাই প্রধানমন্ত্রী এবং সউদী যুবরাজের বৈঠকের মধ্য দিয়ে এখন দুই দেশই আশা করছে পর্যটন এবং পেট্রোকেমিক্যালের মত খাতে সহযোগিতা বাড়বে। এই বৈঠকে আরও সিদ্ধান্ত হয় যে থাই শ্রমিকদের এখন থেকে আবার সউদী আরবে কাজ করতে দেয়া হবে। সূত্র: বিবিসি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন