শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

মহানগর

গৃহবধূ জাকিয়া হত্যা মামলার রায় পিছিয়ে ১০ ফেব্রুয়ারি

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৭ জানুয়ারি, ২০২২, ১২:০১ পিএম

গোপালগঞ্জে জাকিয়া বেগম নামে এক গৃহবধূ খুনের মামলায় স্বামীসহ চার জনের রায় পিছিয়ে আগামি ১০ ফেব্রুয়ারি ধার্য করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারি) মামলাটি রায় ঘোষণার জন্য ধার্য ছিল। কিন্তুঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক জাকির হোসেন ছুটিতে থাকায় ভারপ্রাপ্ত বিচারক বেগম জেসমিন আরা বেগম রায়ের এ তারিখ ধার্য করেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আবু আব্দুল্লাহ ভূঁইঞা এ বিষয়টি জানান।

গত ১৩ জানুয়ারি রাষ্ট্রপক্ষ এবং আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের তারিখ ধার্য করেন। মামলার আসামিরা হলেন-জাকিয়ার স্বামী মোর্শেদায়ান নিশান, নিশানের ভাই এহসান সুশান, ভগ্নিপতি হাসান শেখ ও ম্যানেজার আনিছুর রহমান।


মোর্শেদায়ান নিশান মাছরাঙা টেলিভিশনের গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি ও স্থানীয় দৈনিক আমাদের গোপালগঞ্জ পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন। মোর্শেদায়ান নিশান পলাতক রয়েছেন। অপর তিন আসামি জামিনে ছিলেন। ১৩ জানুয়ারি আদালত তিন আসামির জামিন বাতিল করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

জাকিয়া আক্তারকে খুনের ঘটনায় তার বাবা জালাল উদ্দিন মল্লিক চারজনের নামে ২০১৬ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি গোপালগঞ্জ সদর থানায় মামলা করেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০০৬ সালে নিশানের সাথে জাকিয়া বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকেই নিশানের ও তার পরিবারের সদস্যরা এক কোটি টাকা যৌতুকের জন্য জাকিয়ার ওপর চাপ সৃষ্টি করতো। তাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতো। সন্তানের কথা চিন্তা করে নির্যাতন সহ্য করতো জাকিয়া।


২০১৬ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাতে আসামিরা জাকিয়ার কাছে মোর্শেদায়ান নিশানের নামে ঢাকায় ফ্ল্যাট কিনে দেওয়ার জন্য এক কোটি টাকা যৌতুক দাবি করে। জাকিযা যৌতুক দিতে অস্বীকৃতি জানালে আসামিরা জাকিয়াকে জোর করে শোয়ার ঘর থেকে রান্নার ঘরে নিয়ে যায়। মোর্শেদায়ান নিশান অন্যান্য আসামিদের প্ররোচনায় কুপিয়ে হত্যা করে।

মামলা তদন্ত করে ওই বছরের ৯ জুন গোপালগঞ্জ জেলার ডিবি পুলিশের পরিদর্শক সওগতুল আলম চার জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন। এরপর গোপালগঞ্জ জেলা জজ আদালতে চার আসামির বিচার শুরু হয়। মামলায় সাত জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। মামলাটির বিচার দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়। দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে মামলাটি আসার পর আরও ১৩ জন সাক্ষ্য দেন। চার্জশিটভুক্ত ২০ সাক্ষীর মধ্যে ২০ জনেরই সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত।

গত ৩০ ডিসেম্বর মামলাটি রায়ের জন্য ধার্য ছিল। কিন্তু ওইদিন রায় থেকে উত্তোলন করে আবার আসামিদের আত্মপক্ষ শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আদালত রায়ের তারিখ ধার্য করলেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন