খুলনার কয়রা উপজেলায় লবণ পানির মাছ চাষের জন্য ঘেরের বেড়ি হিসেবে সরকারি রাস্তা ব্যবহার করায় সড়কসহ গ্রামীন কাঁচা-পাকা ও ইটের সড়ক হুমকির মুখে পড়েছে। এসব সড়কে যান চলাচল বেশ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। আর এ কারণে সীমাহীন দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে এলাকার মানুষকে। মৎস্য ঘের ব্যবসায়ীরা ৮০ দশক থেকে সরকারি রাস্তাগুলো ঘেরের বেড়ি হিসেবে ব্যবহার করে আসছে। ঘেরের ক্ষেত্রে রাস্তার পাশে আলাদা বেড়িবাঁধ করার নিয়ম থাকলেও তা কেউ মানছে না।
এছাড়া সরকারি খালের পানি নিষ্কাশনের পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে মাছের ঘের করায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। ফলে একদিকে যেমন ধান আবাদ ব্যাহত হচ্ছে, তেমনি হাজার হাজার হতদরিদ্র পরিবার বিলে মাছ শিকার করতে পারছে না। লবণ পানির ঘের ব্যবসায়ীদের ভয়ে সাধারণ মানুষ মুখ খুলতে সাহস পায় না। সরকারি রাস্তা ঘেরের বেড়িবাঁধ হিসেবে ব্যবহার বন্ধ করা না গেলে একসময় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে। এর মধ্যে উত্তর বেদকাশী ইউনিয়ানের কাঠকাটা হতে দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়ন অভিমুখী রাস্তার অবস্থা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। তখন মানুষকে আরো ভোগান্তির শিকার হতে হবে। এসব বিষয় উঠে আসে উপজেলা প্রশাসনের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী ফোরাম উপজেলা পরিষদের সাধারণ সভায়। সভায় লবণ পানির কারনে ক্ষতিগ্রস্থ ইউনিয়নের চেয়ারম্যানসহ বেশকয়েকজন বিষয়টি নিয়ে উপজেলা পরিষদের সাধারণ সভায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তারা বলেন, লবণ পানির ঘেরের কারণে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়িবাঁধগুলোর ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। সরকারি খালের পানি নিষ্কাশন পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে নেট-পাটা দেয়ায় ভোগান্তি হচ্ছে কৃষকদের।
কয়রা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এসএম বাহারুল ইসলাম জানান, কয়রা সদর ইউনিয়নে লবণ পানি উত্তোলন বন্ধ করা হয়েছে। দীর্ঘদিন পরে এলাকার মানুষ লবণ পানি মুক্ত হয়েছে। উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম শফিকুল ইসলাম জানান, ঘের মালিকরা সড়ককে বেড়িবাঁধ হিসেবে ব্যবহার করে মাছ চাষের ফলে সড়কগুলো নষ্ট হচ্ছে। এ ব্যাপারে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন