মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ০৫ চৈত্র ১৪৩০, ০৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

অবশেষে ধরা ফাঁসির আসামি

ছদ্মবেশে ২০ বছর

চট্টগ্রাম ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২৯ জানুয়ারি, ২০২২, ১২:০০ এএম

দুই দশক পালিয়ে থেকেও শেষ রক্ষা হয়নি খুনির। কখনো উদ্বাস্তু, কখনো বাবুর্চি, কখনো বা নিরাপত্তাকর্মীর ছদ্মবেশে ঘুরে বেড়িয়েছেন সৈয়দ আহমেদ। চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় আলোচিত ব্যবসায়ী জানে আলম হত্যা মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি তিনি। ২০ বছর ধরে তিনি পলাতক ছিলেন। অবশেষ ধরা পড়েছেন। গত বৃহস্পতিবার রাতে নগরীর আকবর শাহ থানা এলাকা থেকে তাকে পাকড়াও করে র‌্যাব। র‌্যাব-৭ চট্টগ্রামের সহকারী পরিচালক নুরুল আবসার বলেন, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে সৈয়দ আহমেদকে গ্রেফতার করা হয়।

২০০২ সালের ৩০ মার্চ জানে আলমকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের বড় ছেলে তজবিরুল আলম বাদী হয়ে লোহাগাড়া থানায় ২১ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন। ২০০৭ সালের ২৪ জুলাই বিচারিক আদালত মামলার রায় ঘোষণা করেন। রায়ে সৈয়দ আহমেদসহ ১২ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়। আটজনকে দেয়া হয় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আসামিরা উচ্চ আদালতে আপিল করেন। আপিলে সৈয়দ আহমেদসহ ১০ জনকে মৃত্যুদণ্ড, দুই জনকে যাবজ্জীবন ও বাকিদের খালাস দেয়া হয়।

গ্রেফতারের পর সৈয়দ আহমেদ পলাতক জীবন সম্পর্কে বিবরণ দিয়েছেন। জানিয়েছেন, জানে আলম হত্যাকাণ্ডের পরপরই তিনি বাঁশখালীর ডাকাত দলের সঙ্গে সমুদ্র পাড়ি দিয়ে আত্মগোপন করেন। প্রথম চার থেকে পাঁচ বছর তিনি পরিবার ও আত্মীয়স্বজন ছেড়ে বাঁশখালী, আনোয়ারা, কুতুবদিয়া, পেকুয়ায়ার সাগর কূলবর্তী এলাকায় থাকতে শুরু করেন। পরে সীতাকুণ্ড এলাকায় উদ্বাস্তু হিসেবে অবস্থান করেন। একপর্যায়ে জঙ্গল ছলিমপুরে সন্ত্রাসী মশিউর বাহিনীর প্রধান মশিউরের ছত্রচ্ছায়া ও সহযোগিতায় সেখানে বসবাস শুরু করেন। পরে মহানগরীর আকবরশাহ থানা এলাকার একটি বাড়িতে নিরাপত্তাকর্মীর ছদ্মবেশে কাজ নেন।

র‌্যাব জানায়, পলাতক থাকাকালে সৈয়দ আহমেদ দুটি ভুয়া জাতীয় পরিচয়পত্র বানান। তিনি তার পরিবার-পরিজন-আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ রাখেন। ফলে তাকে কোনোভাবেই শনাক্ত করা যাচ্ছিল না। তাকে লোহাগাড়ায় থানায় হস্তান্তরের পর কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (3)
Abul Titumir ২৯ জানুয়ারি, ২০২২, ৬:৫১ এএম says : 0
আশা করি ওর ফাঁসিতে নয় ক্রসফায়ারে বিচারে রায় হওয়া দরকার।
Total Reply(0)
Shamsul Arafin ২৯ জানুয়ারি, ২০২২, ৬:৫২ এএম says : 0
বিচার মনে হয় আল্লার উপর ছেড়ে দিতে হবে।
Total Reply(0)
Kafi Akond ২৯ জানুয়ারি, ২০২২, ৬:৫৩ এএম says : 0
Hang the culprit as soon as possible
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন