বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

রঙতুলি আর চাষাভুষার টংয়ে চলমান

শাবির আন্দোলন

শাবি সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৯ জানুয়ারি, ২০২২, ১২:০০ এএম

আমরণ অনশন ভেঙে সুনসান দিন কাটানোর পর গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে ফের আন্দোলন চলমান রেখেছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। গতকাল সন্ধ্যা ৭টা থেকে ভিসির বাসভবনের সামনের অনশনস্থলে রোড পেইন্টিং ও চাষাভুষার টংয়ে বারবিকিউ নাইটের পাশাপাশি আলপনায়, প্রতিবাদী ফুটবলে ভিসির পদত্যাগের দাবিতে প্রায় সারারাত কনসার্ট চালিয়ে গেছেন তারা। পাশাপাশি গতকাল সন্ধ্যায় গোল চত্বরে সবাই মিলে ‘হীরক রাজার দেশে’ সিনেমা দেখেছেন।

এদিকে গত ১৬ জানুয়ারি পুলিশি হামলায় আহত ও অনশনকারী শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন এবং ঢাকায় সজল কুন্ডের উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করায় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। এছাড়াও শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান সঙ্কট নিরসনে সিলেটে এসে আলোচনায় বসার আগ্রহ প্রকাশ করায় তাকে ক্যাম্পাসে যাওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন তারা।

গতকাল শুক্রবার বিকাল ৪টায় সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীদের পক্ষে মোহাইমিনুল বাশার রাজ ও সামিউল এহসান শাফিন এ তথ্য সাংবাদিকদের জানান। মোহাইমিনুল বাশার রাজ বলেন, এই ভিসির পদত্যাগের আগ পর্যন্ত আমরা আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যাব, যাচ্ছি। আমাদের আন্দোলনের অংশ হিসেবে আমরা প্রতিদিনই প্রতিবাদী কনসার্ট করছি। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. লায়লা আশরাফুনের ‘চাষাভুষা’ নিয়ে করা মন্তব্যের ভিত্তিতে ও বিশ্ববিদ্যালয়ের টং বন্ধ করে দেওয়ার পর আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ‘চাষাভুষার টং’ স্থাপন করেছে। প্রতিদিন সন্ধ্যার পর থেকে এ টং দোকান খোলা থাকে।

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সূত্রপাত গত ১৩ জানুয়ারি। ওই দিন রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের প্রাধ্যক্ষ জাফরিন আহমেদের বিরুদ্ধে অসদাচরণের অভিযোগ তুলে তার পদত্যাগসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন হলের কয়েক শ’ ছাত্রী। গত ১৫ জানুয়ারি সন্ধ্যায় ছাত্রীদের আন্দোলনে হামলা চালায় ছাত্রলীগ। পরদিন ১৬ জানুয়ারি শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি ভবনে ভিসিকে অবরুদ্ধ করেন। তখন পুলিশ শিক্ষার্থীদের লাঠিপেটা করে ও তাদের লক্ষ্য করে শটগানের গুলি ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে। ঘটনার পর রাতে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করে শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ দেয় কর্তৃপক্ষ। শিক্ষার্থীরা তা উপেক্ষা করে যে আন্দোলন শুরু করেছিলেন তা অব্যাহত রয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
tareq ২৯ জানুয়ারি, ২০২২, ১২:০৪ পিএম says : 0
Are the teachers only guilty . Not at all. Students are doing so much big. They disrespect all teachers. They want ..... They are also be in judgement . Pls inform the nation , what do students want . Govt university students ( girl, boy) have seen 5 legs of snake . These are too much .
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন