দক্ষিণ চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার খাগরিয়া ইউনিয়নে ১৫ জন গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় ব্যবহার হয়েছে লাইসেন্স করা একটি শটগান। এই শটগানটি আওয়ামী লীগ প্রার্থী আক্তার হোসেনের বলে অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারি) স্বতন্ত্র প্রার্থী জসিম উদ্দিনের নির্বাচনী গণসংযোগে খাগরিয়া ইউনিয়নের গণিপাড়া এলাকায় হামলার সময় শটগানের গুলিতে ১৫ জন গুলিবিদ্ধ হয়। গুলিবিদ্ধ সকলেই স্বতন্ত্র প্রার্থী জসিম উদ্দিনের অনুসারী।
শনিবার (২৯ জানুয়ারি) বিকেলে সাতকানিয়ায় একটি রেস্টুরেন্টে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মোটরসাইকেল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী জসিম উদ্দিন এ অভিযোগ করেন।
লিখিত বক্তব্যে জসিম উদ্দিন বলেন, 'খাগরিয়া ইউনিয়নের নৌকা প্রার্থী আক্তার হোসেনের লাইসেন্স করা শটগান দিয়েই ২৭ জানুয়ারি সকাল ১১টায় গ্রামবাসীর উপর গুলি চালানো হয়েছে। এতে ১৫ জন গ্রামবাসী গুলিবিদ্ধ হয়। নৌকার প্রার্থী লাশ ফেলানোর জন্যই এ গুলির ঘটনা ঘটিয়েছে। ২০১৫ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারী শটগানের লাইসেন্স দেওয়া হয় তাকে। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী তার লাইসেন্স নং- ৪৮, তাং-২৪/০২/২০১৫। এই লাইসেন্স করা শটগানের পাশাপাশি তার কাছে বেশ কয়েকটি অবৈধ পিস্তল আছে। যার মধ্যে আছে নাইনএমএম ও সেভেন পয়েন্ট সিক্স ফাইভ পিস্তলও। এসব অস্ত্র দিয়ে নিয়মিত গুলি ছোড়া হয় এলাকায়। যেগুলো এই নির্বাচনেও ব্যবহার করছেন আক্তার হোসেন।'
তিনি আরও বলেন, 'তার এই অস্ত্রগুলো যদি প্রশাসন জব্দ না করে তাহলে খাগরিয়ায় আক্তার হোসেনের হাতে অনেক মায়ের বুক খালি হবে। সম্পূর্ণ অস্ত্র নির্ভর রাজনীতির মাধ্যমে চেয়ারম্যান নির্বাচন করছেন তিনি। ২৭ জানুয়ারি একদিনে এতগুলো মানুষকে গুলি করে আহত করার পরও যদি প্রশাসন তার কাছে থাকা লাইসেন্সকৃত বন্দুক ও অবৈধ বন্দুক জব্দ না করে তাহলে এটি খাগরিয়ার জনগণের জন্য হুমকি। তাই আমি জেলা প্রশাসন, নির্বাচন কমিশনের সংশ্লিষ্ট অফিসার স জেলার পুলিশের এসপি মহোদয়কে করজোড়ে অনুরোধ করছি তার লাইসেন্স করা অস্ত্র এবং তার কাছে থাকা অবৈধ অস্ত্রগুলো যেন জব্দ করা হয়।‘এসময় তার বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন