সাইবার ট্রাইবুন্যাল ঢাকার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ৮০/২০২১নং মামলার বাদী ও আসামিদের মধ্যে আপোষ মিমাংসা হয়েছে। গত শনিবার গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া আ.লীগ কার্যালয় উভয় পক্ষের উপস্থিতিতে এ আপোষ মিমাংসা সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এপিএস-২ গাজী হাফিজুর রহমান লিকুর উদ্যোগে গোপালগঞ্জ জেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব আলী খাঁন প্রধান অতিথি থেকে এ আপোষ মিমাংসা করেন। উপজেলা আ.লীগের সভাপতি, ভবেন্দ্র নাথ বিশ্বাসের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে মামলার বাদী গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মো. শওকত আলী ও আসামি পৌর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে মিমাংসা সভায় উপজেলা আ.লীগের সহ-সভাপতি এস এম হুমায়ুন কবির, নাদের আলী মিয়া, মুজিবুর রহমান হাওলাদার, আব্দুল খালেক হাওলাদার, সাধারণ সম্পাদক আয়নাল হোসেন শেখ, উপজেলা চেয়ারম্যান বিমল কৃষ্ণ বিশ্বাস, যুগ্মসাধারণ সম্পাদক অহিদুল ইসলাম হাজরা, মেয়র হাজি মো. কামাল হোসেন শেখ, আমিনুজ্জামান খান মিলন, সাংগঠনিক সম্পাদক মতিয়ার রহমান হাজরা, কামরুল ইসলাম বাদল, রুহুল আমীন খান, জেলা পরিষদ সদস্য নজরুল ইসলাম হাজরা মনু, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল আজিজ মিয়া, তৈয়াবুর রহমান সরদারসহ উপজেলার প্রবীণ বীর মুক্তিযোদ্ধারা আ.লীগ ও সহযোগী সংগঠনের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন। বক্তারা বলেন, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আমাদেরই সন্তান এবং আ.লীগের একটি অন্যতম সহযোগী সংগঠন ওদের ভুল ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃস্টিতে দেখে মামলাটি প্রত্যাহার করার জন্য বাদীর প্রতি আহব্বান জানান, বাদী তাদের কথায় সন্তুষ্ট হয়ে মামলাটি প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন।
পরে ছাত্রলীগ নেতারা তাদের আপত্তিকর বক্তব্য প্রত্যাহার করে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা ও ভুল স্বীকার করলে বাদী তাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাটি প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত গ্রহন করার কথা ব্যক্ত করেন। এর আগে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মো. শওকত আলী ও তার বাবা আব্দুল কাদের মিয়াকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে আপত্তিকর মন্তব্য করেন পৌর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এঘটনায় মো. শওকত আলী বাদী হয়ে পৌর ছাত্রলীগ নেতাকর্মিদের বিরুদ্ধে সাইবার ট্রাইবুন্যাল ঢাকার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন