বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

কর্পোরেটদের দৃষ্টি হিলারির দিকেই

প্রকাশের সময় : ২ নভেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রার্থীরা নিজেদের প্রচার-প্রচারণায় ব্যয় করে থাকেন অঢেল অর্থ। এসব অর্থের একটি বড় জোগানদাতা দেশটির কর্পোরেটরা। এর পেছনে যেমন থাকে তাদের সুনির্দিষ্ট কিছু লক্ষ্য, তেমনি থাকে বিনিয়োগের সুযোগ। তবে নির্বাচনকেন্দ্রিক কোটি ডলারের এই বিনিময়, দেশের অর্থনীতিতেও তৈরি করে চাঙ্গাভাব। ১৯১০ সালে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট থিওডর রুজভেল্ট কর্পোরেট হাউসগুলোর উত্থান নিয়েছিলেন দারুণ চিন্তিত। তার শঙ্কা ছিল, সমসুবিধার দেশ যুক্তরাষ্ট্র এক সময় পরিণত হতে পারে কর্পোরেটদের সুবিধার স্বর্গ। কম-বেশি সেটাই প্রমাণিত হয়েছে ১০৬ বছর পরে। কেননা, সাম্প্রতিক তথ্য হলো, ২০১৫ সালের দেশটির প্রতিষ্ঠানগুলোর মুনাফা, ভেঙেছে ৮৭ বছরের ইতিহাস। এবারের নির্বাচনে মার্কিন কর্পোরেট শ্রেণীর পছন্দ হিলারির মতো সম্ভাবনাময়ী নেত্রীকে। ওয়ালস্ট্রিট, আইনজীবী, বিভিন্ন ব্যাংক ছাড়াও বিভিন্ন বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান ছায়া ব্যাংক হিসেবে হিলারির নির্বাচনী প্রচারে অর্থ ব্যয় করেছে। ফলাফল, হিলারি এই প্রতিষ্ঠানগুলোকে গুরুত্ব দিয়ে থাকেন।
অন্যদিকে, ট্রাম্প নিজেই ডলার সমুদ্রে ভাসাচ্ছেন মার্কিনিদের। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, এতে প্রতিষ্ঠানগুলোর স্বার্থ কোথায়? গবেষণা বলছে, এর পেছনে কর্পোরেট হাউসগুলোর সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য যেমন রয়েছে, তেমনি আছে যুক্তিও। আবার অন্য অর্থে, এই খরচকে এক রকম বিনিয়োগ হিসেবেও দেখেন অনেকে। কারণ, নির্বাচনে যে দলই জিতুক, তাতে লাভ হয় উভয়পন্থী ব্যবসায়ীদেরই। কেননা, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ব্যবসায়ীদের পক্ষের কিংবা বিপক্ষের সিদ্ধান্তে মতামত থাকে প্রায় সব গোষ্ঠীর। তাই, নির্দিষ্ট কোনো লক্ষ্য বাস্তবায়ন সম্ভব নয় সেদেশ। ফলে, বিনিয়োগ কিংবা খরচ যে পক্ষের জন্যই করা হোক, তাতে ঝুঁকি থাকে কমই। অন্যদিকে, নির্বাচনকেন্দ্রিক কোটি ডলারের বিনিময়, দেশের অর্থনীতিকেও চাঙ্গা করে নানা আঙ্গিকে। আর মার্কিন নির্বাচনের ফলাফল দলের চেয়ে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রিত হয় ইস্যুকে কেন্দ্র করে। যাতে বড় অবদান থাকে কর্পোরেট দুনিয়ার। তাই, সেদেশের নির্বাচনে টাকার অঙ্ক যেমন মুখ্য, তেমনি মুখ্য কর্পোরেটদের প্রত্যক্ষ সমর্থনও। তবে মার্কিন রাজনীতিতে বড় ধাক্কা দিয়েছেন ডেমোক্রেট দলের মনোনয়ন প্রত্যাশী বার্নি স্যান্ডার্স। যিনি সাধারণ মানুষকে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়েছেন কীভাবে অর্থায়ন করে পুঁজিপতিরা নির্বাচনের বিজয় কিনে নিচ্ছেন। তাই, বার্নি স্যান্ডার্স মার্কিন রাজনীতিতে যে প্রগতিমুখী ধারার সৃষ্টি করেছেন তার প্রভাব হয়ত সুদূরপ্রসারী। রয়টার্স, এএফপি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন