বগুড়ার সান্তাহার আধুনিক ষ্টেডিয়ামের প্রচীরের নিচে পুকুর সম্প্রসারণ করে মাছ চাষের অভিযোগ ওঠেছে। এতে যেকোন সময় প্রাচীর ভেঙে অরক্ষিত হয়ে যেতে পারে স্টেডিয়ামটি । অপরদিকে স্টেডিয়ামটি নির্মাণের দুইযুগ পার হলেও সংস্কার বা খেলাধুলার মানোন্নয়নে কোন কার্যকর পদক্ষেপ পরিলক্ষিত হয়নি।
জানা যায়, ১৯৯৫ সালের ৩০ নভেম্বর তৎকালীন সরকারের অর্থ প্রতিমন্ত্রী অ্যাড. মজিবর রহমান প্রায় ৪ কোটি টাকা ব্যয়ে সাড়ে ৩ একর জমির উপর এই আধুনিক মানের স্টেডিয়মের নির্মাণ কাজ উদ্বোধন করেন। ১৯৯৭ সালের ১৮ আগষ্ট তৎকালীন ক্রীড়ামন্ত্রী, বর্তমান সরকারের সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এই স্টেডিয়াম উদ্বোধন করেন। এর পর প্রায় দু’যুগ পার হলেও স্টেডিয়ামটি সংস্কার বা খেলাধুলার মান উন্নয়নে কোন প্রকার উন্ন্য়নমুলক কাজ না হওয়ায় দিন দিন খেলাধুলার জন্য মাঠটি অনুপোযোগী হয়ে পড়ছে।
এলাকাবাসী জানান, শহরের এক প্রভাবশালী খাদ্য বিভাগের সাইলোর জায়গায় ও স্টেডিয়ামের প্রাচীরের নীচে পুকুর সম্প্রসারণ করে মাছ চাষ করছে দীর্ঘদিন ধরে। এতে স্টেডিয়ামের প্রাচীর ভেঙে অরক্ষিত হওয়ার উপক্রম হয়েছে।
স্টেডিয়াম এলাকার রথবড়ির সপ্তম ভৌমিক জানান, ষ্টেডিয়ামের পাশে যে ডোবা আছে সামান্য পৈত্রিক জায়গা থাকলেও থাকতে পারে তবে খাদ্য বিভাগের এবং স্টেডিয়ামের জায়গা খনন করে মাছ চাষ করার কারনে ষ্টেডিয়ামের বিশাল প্রাচীর ভেঙ্গে পড়লে সরকারের অনেক টাকা ক্ষতি হবে। সান্তাহার পৌর ক্রীড়া সংস্থার ক্রীড়া সম্পাদক আব্দুস শুকুর জানান, স্টেডিয়ামটি আধুনিক মানের । এখানে জাতীয় মানের খেলাধুলা করা সম্ভব। কিন্তু নির্মাণের পর থেকে সংস্কার বা খেলাধুলার মান উন্নয়নে কোন কাজ হয়নি। এলাকার স্বনামধন্য ফুটবল খেলোয়ার এবং পরিচালক মো. আলমগীর হোসেন জানান, একটি প্রাচীনতম শহর সান্তাহার। এখানে একটি ভালোমানের স্টেডিয়াম আছে । এখানকার বাৎসরিক সরকারি বরাদ্দের টাকা কোথায় যায় কে জানে ? এই স্টেডিয়ামে সরকারি বা বেসরকরি ব্যবস্থাপনায় খেলোয়াদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে অনেক জাতীয় ফুটবল ও ক্রিকেট খেলোয়ার তৈরি করা যেতে পারে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন