সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশের প্রথম ডিজিটাল নগরী সিলেট। এ নগরীতে আনুমানিক ২৮০-৩০০ মেট্রিক টন বর্জ্য উৎপাদিত হয় প্রতিদিন। উৎপাদিত বর্জ্যকে নির্দিষ্ট স্থানে ফেলার জন্য সিসিকের ২১টি প্রাইমারী ডাম্পিং স্টেশন এবং ৪৫টি সেকেন্ডারি ডাম্পিং স্টেশন বিদ্যমান। সাকার মেশিন দিয়ে সিউয়ারেজ ডেভলাপমেন্ট, বস্তি-কলোনীতে ইউনিসেফকে সঙ্গে নিয়ে স্ল্যাম এরিয়ার মাধ্যমে পরিবেশবান্ধব বাসস্থান এবং স্যানিটারি, মানিকপীরের টিলায় গার্ডেনিং, দুইটি পাইলট প্রোগ্রাম, সলিড বর্জ্য থেকে মেডিকেল বর্জ্যকে আলাদাকরণসহ ইত্যাদি কাজে সিসিক গুরুত্ব দিচ্ছে। কিন্তু শুধুমাত্র সিটি কর্পোশেনের একার পক্ষে আধুনিক নগর গড়ে তোলা এবং সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সম্ভব নয়। এজন্য সকলের সম্মিলিতি প্রচেষ্ঠা, সচেতনতা এবং নীতিমালা অনুসরণ জরুরি। বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) এর উদ্যোগে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা শীর্ষক নাগরিক সংলাপ এর প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি। আজ বুধবার (০২ ফেব্রুয়ারি) সকালে সিসিকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত নাগরিক সংলাপে সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এমাদ উল্লাহ শহীদুল ইসলামের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সিসিকের প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান। বেলার সিলেট বিভাগীয় সমন্বয়ক এডভোকেট শাহ সাহেদা আখতারের সঞ্চালনায় নির্ধারিত আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন শাবিপ্রবির সিইই বিভাগের অধ্যাপক ড. জহির বিন আলম, সিলেট প্রেসক্লাবের সভাপতি ইকবাল সিদ্দিকী, সুজন সিলেটের সভাপতি ফারুক মাহমুদ চৌধুরী। বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিষয়ক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিসিকের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আলী আকবর। এসময় মুক্ত আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন সিলেট প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ইকরামুল কবির ইকু, সিলেট কৃষি বিশ^বিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. মো. মোতাহার হোসেন, টিআইবির এরিয়া সমন্বয়কারী সাজিদুর রহমান, পরিবেশ অধিদপ্তরের সুকুমার সাহা, শাবিপ্রবির সহকারি অধ্যাপক সেতু আক্তার, অধ্যাপক ড. মো. শফিকুল ইসলাম, বাপা সিলেটের আব্দুল করিম কিম, কাসমির রেজা প্রমূখ। বেলার পক্ষ থেকে ভিডিও চিত্র প্রদর্শনের মাধ্যমে বলা হয়, ডাম্পিং স্টেশনে বর্জ্য পোড়ানো হয়, এটা পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। গৃহস্থালী পঁচনশীল বর্জ্য ক্ষতিকর না হলেও প্লাস্টিক বর্জ্য ক্ষতিকর, যা বিশে^র প্রতিটি দেশেই স্বীকৃত। একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক আমাদের বর্জন করা উচিত। যদিও সম্পূর্ণভাবে প্লাস্টিক ব্যবহার থেকে সরে আসতে আমাদের সময় লাগবে। এজন্য কামনা করা হয় সবার সচেতনতা এবং সহযোগিতা ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন