শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

শান্তি ও সমৃদ্ধির পথ ইসলাম

অপসংস্কৃতি ও তার প্রতিকার-২

মুহাম্মাদ সিরাজুম মুনীর | প্রকাশের সময় : ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১২:০০ এএম

দীর্ঘকালের ধারাবাহিকতায় আমাদের চিন্তা-চেতনা ও কাজে-কর্মে যে অপংস্কৃতির বিষ ঢুকে পড়েছে তা সহজেই দূর করা যাবে না। এ বিষাক্ত প্রভাব থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য পরিকল্পনা গ্রহণ করত হবে। আমাদের সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে যে অসততা ও অপসংস্কৃতি ছড়িয়ে পড়েছে তা রোধ করতে হবে। এজন্য শিক্ষা ক্ষেত্রে ধর্মীয় শিক্ষার সমন্বয় ঘটাতে হবে। যার ফলশ্রুতিতে নৈতিকতা অর্জিত হবে। সাথে সাথে শিক্ষিত সমাজকে সচেতন ও সোচ্চার হতে হবে। সমাজের সর্বস্তরে ইসলামী সংস্কৃতির চর্চা করতে হবে। সর্বোপরি তরুণ-তরুণীদেরকে সচেতন করতে হবে।

ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় জীবনে ইসলামী সংস্কৃতির ব্যাপক প্রচার ও অনুশীলনের চেষ্টা করতে হবে। ফিল্ম বর্তমানে অশ্লীল, নির্লজ্জ ও নৈতিকতা বিবর্জিত দৃশ্যাবলির প্রদর্শনীর কাজে ব্যবহার হচ্ছে। তা দর্শকদের বিশেষত তরুণ-তরুণীদের মন-মগজ ও চরিত্রের ওপর অত্যন্ত খারাপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে থাকে। এ থেকে ধরা ছোঁয়ার বাইরের বিষয়কে ধরতে বা ছুঁয়ে দেখতে ও অব্যক্ত কল্পনাকে বাস্তবে রূপদান করতে তরুণরা পাগল পারা হয়ে যায়।

অনেকে তাস, দাবা, জুয়াকে বিনোদন মনে করে। আর অনেকে এসব খেলায় মেতে গিয়ে আল্লাহর স্মরণ ও পরকালের কর্ম, শরীয়ত অনুসরণ, ঘর-সংসার ও যাবতীয় দায়-দায়িত্ব ভুলে যায়। তাদের সামনে জীবনের বৃহত্তর লক্ষ্য উদ্দেশ্য উপস্থিত থাকে না। আর যে জাতি এ সমস্ত রোগে আক্রান্ত সে জাতির বর্তমান ও ভবিষ্যত ঝঞ্জাবিক্ষুব্ধ ও সমস্যা সংকুল। অপসংস্কৃতি রোধ কল্পে ইসলামী ব্যবস্থার আলোকে জীবনাচারের নানা পর্যায়ে ইসলামের অনুশাসন ও নৈতিকতার বাস্তব দিকগুলো তুলে ধরতে হবে। আল্লাহ মুমিনদের উদ্দেশ করে বলেন, তোমরা সীমালঙ্ঘন করো না।’
এ সীমা দ্বারা মধ্য পন্থাকে উদ্দেশ্য করা হয়েছে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মধ্যমপন্থা অবলম্বন করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। এর থেকে সুষম বিষয়ের উৎপত্তি হয়। এ দুনিয়ার সংস্কৃতির লক্ষ্য হবে সুষম বিষয় বা সৌন্দর্যের সৃষ্টি। মহান আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, আল্লাহ তোমাদের জন্য পছন্দনীয় বস্তু হালাল করেছেন এবং অপছন্দনীয় বস্তু হারাম করেছেন। তাই আজ পৃথিবীতে অপসংস্কৃতির স্রোত বয়ে যাচ্ছে। সেই স্রোতে আমরা যেন ভেসে না যাই। তাহলে আমাদের দুনিয়া এবং আখিরাত দুটোই ব্যর্থ হবে।

আমরা তো মুসলমান আমাদের সামনে রয়েছে আখিরাত। এ জীবনের সকল কাজকর্মের ব্যাপারে আল্লাহ তাআলার নিকট জবাবদিহি করতে হবে। কোরআন মজীদে আছে, যে কণা পরিমাণ নেক আমল করে সে তা দেখতে পাবে এবং যে কণা পরিমাণ বদ আমল করে সেও তা দেখতে পাবে।’ তাই জীবনের সকল ক্ষেত্রে মন্দ কাজ থেকে দূরে থাকা আমাদের কর্তব্য। অপসংস্কৃতির বেড়াজাল ছিন্ন করে আমরা যেন যথার্থ ইসলামী আদর্শে উজ্জীবিত হই এবং জীবনের সকল ক্ষেত্রে তা অনুসরণ করি। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমাদেরকে তাওফীক দান করুন। আমীন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (6)
Masud Rana Chowdhury ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১:৫৪ এএম says : 0
দুনিয়াতে আল্লাহ প্রদত্ত অফুরন্ত নে‘মতরাজির মধ্যে অন্যতম হচ্ছে যৌবনের শক্তিমত্তা। মানুষের স্বাভাবিক জীবনধারার তিনটি স্তর শৈশব, যৌবন ও বার্ধক্য। এর মধ্যে যৌবনকাল শ্রেষ্ঠ। অফুরন্ত প্রাণশক্তির আধার যুবসমাজই দেশ ও জাতির ভবিষ্যত কর্ণধার। তারা দেশ ও জাতির সম্পদ। শত ঝড়-ঝাপটা ও বাতিলের কালো থাবা উপেক্ষা করে তারাই পারে সত্য, ন্যায় ও অহি-র বিধান প্রতিষ্ঠায় বীর বিক্রমে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে। যুবসমাজই পারে পরিবার, সমাজ ও দেশকে কুসংস্কার মুক্ত করে অহি-র সোনালী সমাজ কায়েম করতে।
Total Reply(0)
মোহাম্মদ রমিজ ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১:৫৪ এএম says : 0
পথভ্রষ্ট ও নৈতিকভাবে অধঃপতিত যুবসমাজের দ্বারাই পৃথিবীতে সংঘটিত হয়েছে যত অপকর্ম, ধ্বংস হয়েছে বহু সভ্যতা। তাই বলা যায় যুবসমাজের অধঃপতনই জাতির অধঃপতন। এজন্য যুবসমাজের অবক্ষয় ও পতন রোধে দরকার কার্যকর পদক্ষেপ।
Total Reply(0)
তরিকুল ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১:৫৫ এএম says : 0
মানুষের ভিতরকার অনুশীলিত কৃষ্টির বাহ্যিক পরিশীলিত রূপকে সংস্কৃতি বলা হয়। এটা তাওহীদ, রিসালাত ও আখেরাতের প্রতি বিশ্বাসের আলোকে শারঈ নির্দেশনায় গড়ে উঠলে সেটাই প্রকৃত অর্থে সংস্কৃতি। এর বাইরে যা কিছু আছে সবই নষ্ট ও অপসংস্কৃতি।
Total Reply(0)
সত্য উন্মোচন ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১:৫৫ এএম says : 0
বর্তমানে যুবসমাজের মাঝে নষ্ট সংস্কৃতির প্রভাব সুস্পষ্ট, যা তাদেরকে নৈতিক অধঃপতনের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
Total Reply(0)
কায়কোবাদ মিলন ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১:৫৫ এএম says : 0
বিজাতীয় সংস্কৃতির মধ্যে ভ্যালেন্টাইন ডে, থার্টি ফার্স্ট নাইট, নববর্ষ উদযাপন প্রভৃতি বিজাতীয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বেলেল্লাপনা ও বেহায়াপনার সয়লাব চলে। এসব অনুষ্ঠানে যুবক-যুবতীর উন্মাতাল নাচ-গান যুবচরিত্রকে ধ্বংস করছে।
Total Reply(0)
Md.makhdum ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ৮:০২ এএম says : 0
সকলের প্রতি আমার সালাম, আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমা তুল্লাহ।উপরের নিবন্ধের বিষয় এমুহুর্তে মন্তব্য করার মতো ভাষা আমি হারিয়ে ফেলেছি যারা মন্তব্য করেছেন তাদের আমি সাদুবাদ জানাই।আমার মনে একটাব্যথা একটা মসজিদ নিয়ে। মসজিদটির অবস্থান মধ্য পিংলাকাঠী সরদার বাড়ি জামে মসজিদ। বরিশাল জেলা গৌরনদী উপজেলা নলচিড়া ইউনিয়নের মধ্যপিংলাকাঠী।মসজিদটি৫০ বছরের পুরনো। বাহাদুরপুর পীর দুদু মিয়া রঃ) এর দোয়া ও জাজাতে প্রতিস্ঠত। বর্তমানে মসজিদটির অবস্থা খুবই ঝুঁকিপুর্ন। খুবই জীর্নসির্ন। উপরেটিন ভাঙ্গা নামাজ পড়ার সময় বৃস্টিতে ভিজে যেতে হয়ে। দেয়ালে ফাটল ধরেছে যেকোনো মুহূর্তে ভেঙে পরতে পারে।এলাকার মানুষ খুবই গরীব। তাদের দ্বারা মসজিদ নতুন করে তৈরী করার মতো সামর্থনাই।পাশে ফোরকানীয়া মাদ্রাসার নামে জমী দেয়া আছে আট শতংশ শাদ্রাসা তৈরীর মতো সামার্থ নেই। তাই আমার এআবেদনটি যদি কোন বিত্তশালী বা কোন বিদেশি সংস্থার নজরে পরে দয়া করে মসজিদটি ও মাদ্রাসাটি নির্মানের জন্য এগিয়ে আসার সবিনয় অনুরোধ করছি।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন