প্রতিষ্ঠার ৭১ বছরের মধ্যে এই প্রথমবারের মতো গিয়ারসেল (নিজস্ব ক্রেনবিহীন) জাহাজ থেকে পণ্য খালাস করে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করলো মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ। গত শনিবার পানামা পতাকাবাহী এমভি ফিলোটিমো নামক ওই গিয়ারলেস (নিজস্ব ক্রেনবিহীন) জাহাজটি মোংলা বন্দরের ৯ নম্বর জেটিতে ভিড়ে। পণ্য খালাস করে পুনরায় গত রোববার জাহাজটি আবার বন্দর ত্যাগ করে।
বন্দর কর্তৃপক্ষ উপসচিব মো. মকরুজ্জামান মুন্সি জানান, জাহাজটির দৈর্ঘ্য ১শ’ ৭২ মিটার, গভীরতা ৬ দশমিক ৯ মিটার। জাহাজটি ৪শ’ ৮৬ টিউজ কন্টেইনার নিয়ে এ বন্দরে এসে নিদিষ্ট সময়ে পণ্য খালাস ও বোঝাইয়ের কাজ সম্পূর্ণ করে বন্দর ত্যাগ করে। মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের ২টি মাল্টিপারপাস ক্রেন ও ১টি মোবাইল হারবার ক্রেন দিয়ে ২শ’ ৬৩টি পণ্যবাহী কন্টেইনার জাহাজ থেকে খালাস ও ৩শ’ ৪৪টি কন্টেইনার জাহাজে বোঝাই করা হয়েছে।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাস্টার কমান্ডার শেখ ফখরউদ্দীন জানান, বন্দরের নিজস্ব সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য সম্প্রতি ২টি মাল্টিপারপাস ক্রেন ও ৪টি মোবাইল হারবার ক্রেন সংযোজন করা হয়েছে। এই অত্যাধুনিক মাল্টিপারপাস ও মোবাইল হারবার ক্রেনের মাধ্যমেই গিয়ারলেস জাহাজটি থেকে আমদানি-রফতানি পণ্য বোঝাই-খালাস সম্ভব হয়েছে। এর আগে শুধুমাত্র নিজস্ব ক্রেনসংযুক্ত কন্টেইনারবহনকারী জাহাজের আগমন ঘটতো এ বন্দরে। এখন থেকে গিয়ারলেস জাহাজ আসলেও তার যথাযথা সেবা প্রদানে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ সম্পূর্ণ প্রস্তুত রয়েছে। মাত্র ৩৯ ঘণ্টায় গিয়ারলেস জাহাজটি থেকে সকল কন্টেইনার ওঠানো ও নামানো হয়েছে, প্রতি ঘণ্টায় ১৫টি কন্টেইনার ওঠানামানোতেও রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে। কারণ এমন জাহাজ থেকে সমপরিমাণ পণ্য ওঠানামানোর জন্য সাধারণত তিন দিন সময় লেগে থাকে। কিন্তু এটির ক্ষেত্রে সময় লেগেছে দুই দিন। যা মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ তথা সরকারের জন্য একটি নতুন মাইল ফলক স্পর্শ করলো। ১৯৫০ সালে মোংলা বন্দর প্রতিষ্ঠিত হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন