শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

মার্কিন সিনেট বিলে শঙ্কা নেই : গার্মেন্টসে ভাগ্য বদল

প্রকাশের সময় : ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম | আপডেট : ১১:৪৭ পিএম, ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬

স্টালিন সরকার : রংপুরের পীরগাছা উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রাম তাম্বুলপুরের আকলিমা ছনের ঘরে বেড়া দিতে পরতো না। স্বামীর সংসার ভেঙে যাওয়ার পর বাপের বাড়িতে ঠাঁই হলেও ভাইয়েরা তার দায়িত্ব নেয়নি। প্রতিবেশীর বাড়িতে ফাই-ফরমাশ করে জীবন চলতো। পরনের কাপড়ের ভরসা ছিল ঈদের ফেতরা। দূর সম্পর্কের অত্মীয়ের সঙ্গে ঢাকা আসেন বাসা-বাড়িতে কাজের সন্ধানে। ভাগ্যক্রমে সাভারের একটি গ্রার্মেন্টসে কাজ পান। দুই হাজার টাকায় চাকরিতে ঢুকলেও ১০ বছরের ব্যবধানে আকলিমার বাড়িতে এখন চকচকে টিনের ঘর। আগে ফেতরার টাকা নিতেন এখন নিজেই দেন। একই উপজেলার নেকমামুদ গ্রামে আনোয়ার দর্জির কাজ করতেন।
দুই ছেলেমেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে তার ছিল অমানবিক জীবন। খড়ের ঘর ছিল দু’টি। এক রিকশাচালকের কথায় গ্রার্মেন্টসে চাকরি করতে গাজীপুর আসেন। একটি গার্মেন্টসে কাজ নেন। অতঃপর স্ত্রী, ছেলে-মেয়ে এবং ছেলের স্ত্রী সকলেই একই গ্রার্মেন্টসে কাজ পান। আনোয়ারের গ্রামের বাড়িতে এখন ইটের পাকা বাড়ি। ব্যাংকে ফিক্সড ডিপোজিট। গ্রামে দুই বিঘা জমিও কিনেছেন। বৃদ্ধ মাকে টাকা পাঠান। পাশের গ্রামে সীমা একটি বেসরকারি স্কুলে তিন হাজার টাকায় চাকরি করতেন। বাউ-ুলে স্বামী ইসহাক তাস খেলে এবং বাপের জমি বিক্রি করে সংসার চালাতেন। টানাপোড়েনের সংসারে হতো নিত্য ঝগড়া। এক ঈদের পরের দিন প্রতিবেশীর সঙ্গে ঢাকায় আসেন কাজের সন্ধানে। সাভারে একটি গ্রার্মেন্টসে কাজ নেন। বিএ পাস হওয়ায় প্রথম দফায় ১২ হাজার টাকা বেতন হলেও অতিরিক্ত কাজের কারণে ১৫-১৬ হাজার টাকা প্রতিমাসে আয় করেন। এখন লাখ লাখ টাকা ধার দেন আত্মীয়-স্বজনদের ব্যবসা করার জন্য। বাড়িতে টিনের ঘরের বদলে ইটের পাকা ঘর হয়েছে। ঘরে রঙিন টিভি। বাসায় ডিশও নিয়েছেন। আকলিমা, আনোয়ার আর সীমাই নয়; গার্মেন্টসশিল্প পাল্টে দিয়েছে গ্রামের বেকার মানুষের জীবন। ১০ বছর আগে যারা খেতে পারতেন না; খড়ের ঘরের বেড়া দেয়ার জন্য ছন কিনতে পারতেন না; তাদের এখন কারো সেমি-পাকা বাড়ি, কারো চকচকে টিনের ঘর। টিভি-ফ্রিজও কিনেছেন কেউ কেউ। বর্তমানে এ চিত্র সারাদেশের। যে গার্মেন্টসশিল্প দেশের গ্রামগঞ্জের অশিক্ষিত-অর্ধশিক্ষিত ও নিম্নবিত্ত পরিবারের আইবুড়ো মেয়েদের ভাগ্যের চাকা ঘুরিয়ে দিয়েছে; স্বপ্ন দেখাতে শুরু করেছে আরো বড় বড়; সেই গার্মেন্টসে বিদেশি শকুন যেন থাবা বসাতে চাচ্ছে। একের পর এক সঙ্কট সৃষ্টির চেষ্টা চলছে। কখনো বেতন ইস্যু, কখনো কর্মপরিবেশ ইস্যু, কখনো শ্রমিক ইউনিয়ন ইস্যু কখনো দুর্ঘটনা ইস্যু। কিন্তু সব সঙ্কট মাথায় নিয়ে এগিয়ে চলছে গ্রার্মেন্টস।
দেশের প্রায় অর্ধকোটি মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে গার্মেন্টসশিল্পে। বিশেষ করে গ্রামের মেয়েদের কর্মসংস্থান হওয়ায় গ্রাম-বাংলার মানুষের জীবনযাত্রাই পাল্টে গেছে। গার্মেন্টস কন্যারা এখন আর বাবা-মায়ের বোঝা নন। যৌতুকের কারণে মেয়েদের বিয়ে হয় না এমন চিত্র প্রায় নেই বললেই চলে। যে মেয়ে গ্রার্মেন্টসে চাকরি করেন তার বিয়ে এমনিতেই হয়ে যাচ্ছে। কর্মসংস্থানের পাশাপাশি দেশের উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখছেন। দেশের অর্থনীতি চাঙা করতে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হচ্ছে পোশাকশিল্পে। এখনো ইউরোপ ও আমেরিকায় একচেটিয়া বাজার বাংলাদেশের গার্মেন্টস পণ্যের। বাংলাদেশের এই সাফল্য ঠেকিয়ে দিতে কয়েক বছর পরিকল্পিতভাবে বেতন-ভাতা নিয়ে শ্রমিকদের ক্ষেপিয়ে তোলা হতো। গ্রার্মেন্টস ভাঙচুর এবং নিজেদের অজান্তে নিজ প্রতিষ্ঠানের ক্ষতিসাধন করে শ্রমিকরা কাজ হারাতেন; হয়ে পড়তেন বেকার। দেশি বিদেশি শ্রমিক সংগঠনগুলোর চাপ, সরকারের উদ্যোগ ও মালিকদের আন্তরিকতায় শ্রমিকদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধির পর নতুন করে ‘শ্রমিক ইউনিয়ন’ ইস্যু সামনে আনা হয়। অতপর স্পেকট্রাম গার্মেন্টসে দুর্ঘটনা, গাজীপুরের স্ট্যান্ডার্ড গ্রুপের একটি পোশাক কারখানায় আগুন, সাভারের তাজরিন ফ্যাশনে অগ্নিকা-, সাভারের রানা প্লাজা ধসে এগারশও বেশি শ্রমিকের করুণ মৃত্যু পোশাকশিল্পের উপর নতুন করে বিপর্যয় নেমে আসে। আমেরিকা ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের ক্রেতারা বাংলাদেশের তৈরি পোশাক ক্রয়ে গার্মেন্টস কারখানায় শ্রমিকদের কর্মপরিবেশ সৃষ্টির শর্ত দেন। অতঃপর তার কর্মপরিশে পরিদর্শনের জন্য অ্যাকর্ড ও এল্যায়েন্স নামে দুটি আন্তর্জাতিক মানের কমিটি গঠন করেন। তারা দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের হাজার হাজার গার্মেন্টস কারখানা পরিদর্শন করে কর্মপরিবেশ ‘মানসম্পন্ন’ সার্টিফিকেট দেন। কিন্তু এক সঙ্কট কাটিয়ে উঠার পর আরেক সঙ্কটের ইস্যু সৃষ্টি করা হয়। কর্মপরিবেশ ঝুঁকিপূর্ণ এমন অভিযোগে আমেরিকা আগেই বাংলাদেশের গ্রার্মেন্টস পণ্যে জিএসপি সুবিধা স্থাগিত করেছে। কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করার পরও নানা অজুহাতে সে সুবিধা বন্ধ রাখা হয়েছে। বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ একাধিকবার বলেছেন, গার্মেন্টসে কর্মপরিবেশের উন্নতি ঘটানো হলেও রাজনৈতিক কারণেই মার্কিন য্ক্তুরাষ্ট্র জিএসপি সুবিধা স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করছে না। জিএসপি সুবিধা স্থগিত করেও বাংলাদেশের গার্মেন্টসশিল্পের উন্নয়ন ঠেকানো সম্ভব না হওয়ায় নতুন ফন্দি করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এপির খবরে প্রকাশ বাংলাদেশে ‘নির্যাতিত নারীদের’ তৈরি পোশাক আমদানি নিষিদ্ধ করছে যুক্তরাষ্ট্র। খবরের ভাষা এমন- ‘জোরপূর্বক শ্রমে উৎপাদিত পণ্যসামগ্রী আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা বিল অনুমোদন দিয়েছে মার্কিন কংগ্রেসের উচ্চ কক্ষ সিনেট। অনুমোদনের পর বিলটি চূড়ান্তকরণের লক্ষ্যে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার টেবিলে পাঠানো হয়েছে। চলতি সপ্তাহে এ বিলে ওবামার স্বাক্ষর করার কথা রয়েছে। প্রেসিডেন্ট ওবামা বিলটি স্বাক্ষর করার পর যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশ থেকে ‘নির্যাতিত নারীর’ সেলাই করা পোশাক আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে। সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়, বিলটি ‘এইচ আর ৬৪৪’ নামে পরিচিত। প্রেসিডেন্ট ওবামা এ আইনে সই করলে কয়েদি শ্রম, জোরপূর্বক শ্রম অথবা চুক্তিভিত্তিক শ্রমে উৎপাদিত পণ্য যুক্তরাষ্ট্রে আমদানিতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হবে। উচ্চকক্ষ সিনেটে ‘বিল ৭৫-২০’ ভোটে অনুমোদনের আগে নিম্নকক্ষ হাউজে বিলটি পাস হয়। বাস্তবতা হলো বাংলাদেশের গার্মেন্টস শিল্পে নারী শ্রমিকরা নির্যাতিত হচ্ছেন বা নারীদের জোরপূর্বক কাজ করানো হচ্ছে এমন কোনো তথ্য নেই। বরং এখন উল্টো চিত্র বাংলাদেশে। গ্রামের অবহেলিত, বঞ্চিত ও যৌতুকের কারণে যাদের বিয়ে হচ্ছিল না সেই দুর্দশাগ্রস্ত নারীরা গ্রার্মেন্টসে কাজ নিজেকে স্বাবলম্বী করেছেন। তারা নিজের ইচ্ছায় গার্মেন্টসে কাজ করছেন এবং নিজেদের আত্মীয়-স্বজনদের কাজে উৎসাহিত করছেন। জোর করে শ্রমিকদের কাজ করানো হয় না; বরং ওভার টাইম কার্যকর হওয়ায় অতিরিক্ত আয়ের জন্য গ্রার্মেন্টস শ্রমিকরা নির্ধারিত কর্মঘন্টার বাইরে কাজ করতে অতি উৎসাহী। এ প্রসঙ্গে পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান ইনকিলাবকে বলেছেন, আমাদের দেশের পোশাক কারখানাগুলোতে নির্যাতিত নারী বা শ্রমিকদের জোরপূর্বক শ্রমে বাধ্য করার ঘটনা নেই। তাই এই আইনের আওতায় কোনভাবেই দেশের গার্মেন্টস পড়ছে না। একই সঙ্গে এই আইন আমাদের জন্য প্রযোজ্য নয় বলে উল্লেখ করেন। তবে ইচ্ছে করে যদি করা না হয় তাহলে অন্য কথা। আর একজন শীর্ষস্থানীয় গার্মেন্টস ব্যবসায়ী কথা প্রসঙ্গে জানান, শ্রমিকরা আগে ঘড়িতে বিকেল ৫টা বেজে যাওয়ার আগেই কর্মস্থল ছাড়ার চেষ্টা করতেন। এখন তারাই ওভার টাইমের জন্য অনুরোধ করেন। সব গার্মেন্টসে প্রায় অভিন্ন চিত্র।
‘একটি দুর্ঘটনা সারা জীবনের কান্না’ টিভিতে প্রায়ই এ বিজ্ঞাপন প্রচারিত হয়। বাংলাদেশের ব্যবাসায়ীদের সংগঠনে এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মতলুব আহমাদের ব্যবসায়িক পণ্যের শ্লোগান। এ শ্লোগান যেন মিথ্যা হয়ে গেছে গার্মেন্টস খাতে। একটি ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা গার্মেন্টসশিল্পে যেন হাজারো সম্ভাবনার জন্ম দিয়েছে। ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল সাভারের রানা প্লাজার মর্মান্তিক ও বেদনাদায়ক দুর্ঘটনায় ১১শ’ বেশি শ্রমিক নিহতের পর মুখ থুবড়ে পড়েনি; বরং দেশের পোশাক খাতে বৈপ্লবিক পরিবর্তনের সুযোগ এবং হাজারো নতুন নতুন সম্ভাবনা তৈরি করে দিয়েছে। গার্মেন্টসের মালিক ও শ্রমিকদের মানসিকতায় ইতিবাচক পরির্বতন এসেছে। পোশাক খাতে ন্যায় প্রতিষ্ঠার পথ প্রশস্ত হয়েছে। ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ শ্লোগান এ দেশের সর্বস্তরের মানুষের কাছে হয়ে গেছে অহংকার। এই অর্জন এসেছে পোশাকশিল্পে কর্মপরিবেশ সৃষ্টি এবং বিদেশে পোশাক রফতানির সাফল্যের মাধ্যমে। উল্লেখ্য গার্মেন্টস শিল্পের কারখানার কর্মপরিবেশ পর্যবেক্ষণের লক্ষ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত (ইইউ) ক্রেতাদের জোট অ্যাকর্ড গঠন করে। আর ‘অ্যালায়েন্স’ গঠন করে উত্তর আমেরিকান পোশাক কোম্পানি, খুচরা বিক্রেতা এবং ব্র্যান্ড প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠানগুলো। দু’টি প্রতিষ্ঠান একত্রিত হয়েছে বাংলাদেশ ওয়ার্কার সেফটি ইনিশিয়েটিভ চালু করার লক্ষ্যে এবং শ্রমিক নিরাপত্তা উন্নয়ন ও দেখভালে। মূলত, ২০১৩ সালে রানা প্লাজা দুর্ঘটনায় পর অ্যাকর্ড-এ স্বাক্ষরকারী ১৯২টি ব্র্যান্ডের কাছে পোশাক রপ্তানি করে এমন ১ হাজার ৫শ› কারখানা পরীক্ষা ও সংস্কার কাজ তদারক করছে অ্যাকর্ড। আগামী ২০১৮ সাল পর্যন্ত এ সব কারখানার সংস্কার কাজ তদারক করতে অ্যাকর্ড-এ স্বাক্ষরকারী ব্র্যান্ডগুলো চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। অ্যাকর্ড ও অ্যালায়েন্স-এর পরিদর্শনে ঝঁকিপূর্ণ বিবেচনায় ৫৪০০ কারখানার মধ্যে মাত্র ৫০টি কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। আর অধিকাংশ কারখানায় কর্মপরিবেশে তারা সন্তোষ প্রকাশ করেন।
দেশে আশির দশকে পোশাকশিল্প যাত্রা শুরু করে। উদ্বক্তরা প্রথমে বাসা-বাড়ির মধ্যেই ছোট্ট পরিসরে গ্রার্মেন্টস প্রতিষ্ঠা করেন। তারপর এই খাতের ব্যাপক প্রসার ঘটে। গ্রামগঞ্জের হাজার হাজার বেকার যুবক-যুবতী গার্মেন্টসে চাকরি গ্রহণ করেন। কয়েকটি দুর্ঘটনার কারণে শ্রমিকের জীবনের নিরাপত্তা, শ্রম অধিকার, কারখানার কর্মপরিবেশ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল আমেরিকা, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, কানাডার মতো প্রভাবশালী দেশের বিশ্বখ্যাত খুচরা ক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলো। কিন্তু অ্যাকর্ড ও অ্যালায়েন্সের তদারকিতে গার্মেন্টস কারখানার কর্মপরিবেশের মানের উন্নয়ন হয়েছে। রাজনৈতিক বিরোধের কারণে দেশে সুশাসনের অভাব, মালিকদের শ্রমিক ঠকানোর মানসিকতা, ঔদ্ধত্য এবং শিষ্টাচারের অভাবে পোশাক খাত সংকটের মুখে পড়েছিল। মুষ্টিমেয় কিছু উদ্যোক্তার লোভ-লালসায় জ্বলে ছারখার হওয়ার উপক্রম হয়েছিল নিজেদের হাতে গড়া পোশাক খাত সাম্রাজ্য। কিন্তু রানা প্লাজার ঘটনার পর মালিক শ্রমিক দুই পক্ষই এখন সচেতন। কয়েকটি দুর্ঘটনায় আমেরিকা জিএসপি স্থগিত করেছে। আবার অনেকেই আশঙ্কা করেছিলেন বাংলাদেশের গার্মেন্টস পণ্য থেকে মুখ ঘুরিয়ে নিতে পারে বিশ্ব ক্রেতারা। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের অভিমত এমন আশঙ্কার কোনো কারণ নেই। তিন দশকে নিজেদের চেষ্টায় গার্মেন্টস শিল্প তথা পোশাক খাত অর্থনীতির লাইফ লাইন হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। প্রতিবছর প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছে। বিশ্ববাজারে ‘মেড ইন বাংলাদেশ’এখন সমাদৃত। যার কারণে গার্মেন্টস শিল্পের শেকড় বাংলাদেশের অর্থনীতির এত গভীরে যে চাইলেই তা উপড়ে ফেলা সম্ভব নয়। গার্মেন্টসের বিদেশী ক্রেতা এইচ এন এম, ওয়াল মার্ট, হুগো বস, ইনডিটেক্স, গুচি, মার্কস স্পেন্সার, গ্যাপ, প্রাইমার্ক, জে সি পেনি, কেরিফোর, আলটিমোসহ বিশ্বের সব খুচরা বিক্রেতা ও ব্র্যান্ডগুলো নিজেদের ব্যবসায়ীত্ব লাভালাভের স্বার্থেই বাংলাদেশ ছেড়ে যেতে পারবে না। যতই কর্মপরিবেশ ও শ্রমিক স্বার্থের কথা উচ্চারণ করুক না কেন মুনাফাটাই তাদের কাছে আসল। মুনাফার হিসাব হয় অঙ্কে, আবেগে নয়। যতই বিকল্প বাজার খোঁজার হুমকি দেয়া হোক; বাংলাদেশের গার্মেন্টসে তৈরি পোশাক নিয়ে তারা যে মুনাফা করেন; তা দুনিয়ার আর কোনো দেশ থেকে পাওয়া সম্ভব নয়।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (2)
আসমা ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ১২:১৭ পিএম says : 0
এই ষড়যন্ত্র মোকাবেলা সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।
Total Reply(0)
আসলাম ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ৬:১৩ পিএম says : 0
জাতীয় এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি নিয়ে লেখার জন্য লেখককে ধন্যবাদ।
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন