চট্টগ্রামে করোনা আক্রান্ত ১০ জনের নমুনার জিনোম সিকোয়েন্সিং করে ১০ জনেরই ওমিক্রন ভেরিয়েন্টের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ইউনিভার্সিটিতে এসব নমুনার জিনোম সিকোয়েন্সিং করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা জানান, চট্টগ্রামে অধিকাংশ রোগীর শরীরে ওমিক্রন ভেরিয়েন্টটি ইতোমধ্যে সংক্রমণ ছড়িয়েছে।
গবেষণায় দেখা যায়, সংক্রমণের শুরু থেকে বর্তমান পর্যন্ত বিভিন্ন সময় ভাইরাসটির ৬৮টি বার জিনগত পরিবর্তন হয়েছে। দশটি নমুনার মধ্যে সবকটি নমুনায় ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট (বি১.১৫২৯) এর উপস্থিতি রয়েছে। এরমধ্যে চারটি নমুনায় ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের অধিকতর সংক্রমণশীল লিনিয়েজ (বিএ২) শনাক্ত করা হয়। গবেষক দলের সদস্য সহকারী অধ্যাপক ডা. ইফতেখার আহমেদ রানা বলেন, ওমিক্রন আক্রান্ত রোগীদের উপসর্গ ছিল খুবই মৃদু। অধিকাংশ রোগীর গলা ব্যথা, সর্দি ও হালকা জ্বর ছাড়া মারাত্মক কোন লক্ষণ ছিল না। বেশিরভাগ রোগীর শরীরে ‘বিএ২’ ধরণের সংক্রমণ পাওয়া গেছে। যা তেমন বিপজ্জনক না হলেও অধিকতর সংক্রমণশীল।
এর আগে চবি ও জেনারেল হাসপাতালের গবেষকরা ৩০ জনের নমুনার জিনোম সিকোয়েন্সিং করেন। এতে ৭৫ শতাংশ রোগীর শরীরে ওমিক্রন সংক্রমণ পাওয়া গেছে বলে দাবি করেন তারা। এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে করোনায় কারও মৃত্যু হয়নি। সংক্রমণ শনাক্তের হার ১১ শতাংশে নেমে এসেছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন