সুগন্ধা নদীতে যাত্রীবাহী অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ড ও হতাহতের ঘটনায় ঝালকাঠিতে দায়ের করা মামলা নৌ আদালতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে ঝালকাঠির জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক এএইচএম ইমরানুর রহমান শুনানি শেষে এ আদেশ প্রদান করেন। এর আগে দুপুরে মামলাটির কার্যক্রম স্থগিত ও মালিকসহ তিন আসামির জামিন চেয়ে আদালতে আবেদন করেন আসামিপক্ষের আইনজীবী ইঞ্জিনিয়ার জিকে মোস্তাফিজুর রহমান। আসামিরা ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে থাকায় ঝালকাঠির আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। মামলাটির ধার্য তারিখ ছিল গতকাল বৃহস্পতিবার।
মামলার বিবরণে জানা যায়, গত বছরের ২৩ ডিসেম্বর রাতে এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডে হতাহতের ঘটনায় ঝালকাঠি থানায় গত ২৭ ডিসেম্বর রাতে একটি মামলা দায়ের করা হয়। স্বজনহারা ঢাকার ডেমরার বক্সনগর এলাকার বাসিন্দা ইট-বালুর ব্যবসায়ী মনির হোসেন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। তার বোন তাসলিমা আক্তার, ভাগ্নি সুমাইয়া আক্তার মিম, সুমনা আক্তার তানিসা ও ভাইয়ের ছেলে জুনায়েদ ইসলাম পুড়ে যাওয়া লঞ্চের মধ্যে ছিল। তারা সবাই নিখোঁজ রয়েছেন। মামলায় পুড়ে যাওয়া লঞ্চের অন্যতম মালিক হামজালাল শেখ, দুই মাস্টার রিয়াজ সিকদার ও মো. খলিল, দুই চালক মাসুম ও কালাম, সুপারভাইজার আনোয়ার, সুকানী আহসান ও কেরানী কামরুলকে আসামি করা হয়। এছাড়াও অজ্ঞাত আরো ২০-২৫ জন লঞ্চের কর্মচারীকে আসামি করা হয়। লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডে এ পর্যন্ত ৪৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। দগ্ধ হয়েছে শতাধিক যাত্রী।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন