শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

ভাষা শহীদ ভাষা সৈনিক লও সালাম

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১২:০৪ এএম

১৯৪৯ সালের ৯ মার্চ। পূর্ব পাকিস্তানে বাংলাকে সরকারি কর্মকাণ্ড ও শিক্ষার একমাত্র ভাষা এবং সেই সাথে উর্দুর পাশাপাশি রাষ্ট্রভাষা ঘোষণার অব্যাহত আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে খাজা নাজিমুদ্দিনের উদ্যোগে পাকিস্তান সরকার বাংলাকে আরবি হরফে প্রচলন করার ব্যাপারে একটি প্রস্তাব দেয়। এ লক্ষ্যে ৯ মার্চ ১৯৪৯ সালে মৌলানা আকরম খানকে চেয়ারম্যান করে ১৬ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়। তবে বাঙালি জনতার দাবি ছিল একটিই বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা ঘোষণার। সেই সময় থেকেই বাংলাকে অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে যারা আন্দোলন করছিলেন তাদের উপর শুরু হয় নির্যাতন।

পাকিস্তান শাসনামলে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার পক্ষে যাঁরা কথা বলতেন, তাঁদের তখন শাসকগোষ্ঠীর হাতে নির্যাতন-নিপীড়নের শিকার হতে হয়েছে। ভাষার প্রশ্নে বাঙালির কোন পঙ্ক্তি তাঁরা পছন্দ করতেন না। তেমনি একুশ নিয়ে লেখা প্রথম কবিতাটিও মেনে নিতে পারেননি পাকিস্তানী শাসকগোষ্ঠী। চট্টগ্রাম লালদীঘি ময়দানে ২১ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে আয়োজিত সভায় কবিতাটি আবৃত্তি করেন হরুনুর রশীদ। এর পর পরই পাক সরকার কবিতাটি নিষিদ্ধ করে দেয়। কবিতাটির লেখক কবি মাহবুব-উল-আলম চৌধুরীর বিরুদ্ধে হুলিয়া জারি করে তৎকালীন সরকার। তিনি ছিলেন চট্টগ্রাম সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক। কবিতার নাম ছিল ‘কাঁদতে আসিনি ফাঁসির দাবি নিয়ে এসেছি। শুধুমাত্র কবিতা লেখার কারণে মাহবুব-উল-আলম চৌধুরীকে ৯ মাস পালিয়ে, আত্মগোপনে থাকতে হয়েছিল। কবিতার কপিটি লুকিয়ে রেখেছিলেন বাড়িতে। এই কারণেই ‹৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন তাঁর বাড়ি জ্বালিয়ে দেয় পাকবাহিনী। এভাবে শুধু একজন-দু’জন নয়। অসংখ্য ভাষা সংগ্রামীকে সেদিন পাকিস্তানীদের নির্যাতন সহ্য করতে হয়েছে। তার পরেও তারা বাংলা ভাষার দাবিতে অটল-অবিচল ছিলেন ভাষা সংগ্রামীরা। যার ফলেই পাকিস্তানী শাসকগোষ্ঠী বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবি মেনে নিতে বাধ্য হয়। #

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন