শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

মসলিন তৈরীর জন্য সোনারগাঁ হলো উপযুক্ত স্থান- প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ

নারায়ণগঞ্জ জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ৬:৪৫ পিএম

বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনে মাসব্যাপী লোক কারুশিল্প মেলা ও লোকজ উৎসবের উদ্বোধন করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে কারুশিল্প ফাউন্ডেশনে অবস্থিত সোনারতরী লোকজ মঞ্চে এ মেলার উদ্বোধন করা হয়। অনুষ্ঠানে ফাউন্ডেশনের পরিচালক ড. আহমেদ উল্লাহর সভাপতিত্বে প্রধান অতিধি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে কে এম খালিদ বলেন, জাতির জনক ইতিহাস ঐতিহ্য ধরে রাখা, সংরক্ষণের জন্য শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীনের হাত ধরে লোক কারুশিল্প ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেন। সোনারগাঁ অঞ্চলে একসময় বিখ্যাত মসলিন কাপড় তৈরী হত। মসলিন তৈরীর জন্য সোনারগাঁ হলো উপযুক্ত স্থান। বর্তমানে মসলিনের হাত ধরে সোনারগাঁয়ে জামদানী তৈরী হচ্ছে। যা দেশে বিদেশে সুখ্যাতি অর্জন করেছে।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহ সচিব মনিরুল আলম, নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক সাংসদ আবদুল্লাহ আল কায়সার, নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজ, সোনারগাঁ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ্যাড. সামসুল ইসলাম ভ‚ঁইয়া, সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ই্উএনও) তৌফিক এলাহী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (খ-অঞ্চল) বিল্লাল হোসেন, সোনারগাঁ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার ওসমান গনি প্রমুখ।

কারুশিল্প প্রদর্শনীর ২৪টি স্টলসহ মোট ১০০টি স্টল স্থান পাবে। এর মধ্যে নওগাঁ ও মাগুরার শোলা শিল্প, রাজশাহীর শখের হাড়ি, চট্টগ্রামের তালপাখা ও নকশি পাখা, রংপুরের শতরঞ্জি, সোনারগাঁয়ের হাতি, ঘোড়া পুতুল ও কাঠের কারু শিল্প, নকশিকাঁথা, বেত ও বাঁশের কারুশিল্প, নকশি হাতপাখা, সিলেট ও মুন্সিগঞ্জের শীতল পাটি, কুমিল্লার তামা-কাঁসা পিতলের কারুশিল্প, রাঙামাটি ও বান্দরবান জেলার ক্ষুদ্র-নৃ-গোষ্ঠীর কারু পণ্য, কিশোরগঞ্জের টেরা কোটা শিল্প, সোনারগাঁয়ের পাটের কারুশিল্প, নাটোরের শোলার মুখোশ শিল্প, মুন্সিগঞ্জের পট চিত্র, ঢাকার কাগজের হস্তশিল্প থাকছে।

এছাড়াও লোক কারুশিল্প মেলা ও লোকজ উৎসবে থাকবে বাউলগান, পালাগান, কবিগান, ভাওয়াইয়া ও ভাটিয়ালী গান, জারি-সারি ও হাছন রাজার গান, লালন সংগীত, মাইজভান্ডারী গান, মুর্শিদী গান, আলকাপ গান, গাঁয়ে হলুদের গান, বান্দরবান, বিরিশিরি, কমলগঞ্জের-মণিপুরী ক্ষুদ্র নৃ- গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, শরিয়তী-মারফতি গান, ছড়া পাঠের আসর, পুঁথি পাঠ, গ্রামীণ খেলা, লাঠি খেলা, দোক খেলা, ঘুড়ি ওড়ানো, লোকজ জীবন প্রদর্শনী, লোকজ গল্প বলা, পিঠা প্রদর্শনী ইত্যাদি

উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সোনারতরী মঞ্চে গ্রামীণ লোক ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। উৎসবে আগত দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। মাসব্যাপী কারুশিল্প মেলা প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকবে।


কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক দেশের কৃষি খাতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের কৃষি খাতে বিনিয়োগের বিরাট সম্ভাবনা রয়েছে। কৃষি প্রক্রিয়াজাত, ভ্যালু অ্যাড ও রপ্তানিতে বিদেশি ও প্রবাসী বাংলাদেশিদের বিনিয়োগের আহ্বান জানাই। বাংলাদেশে বিনিয়োগের অনুকূল পরিবেশ রয়েছে এবং সরকার সব ধরনের সহযোগিতা করবে।

আজ মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুবাইয়ে ওয়ার্ল্ড এক্সপোতে বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নে কৃষির উন্নয়ন, রপ্তানি ও বিনিয়োগ সম্ভাবনা শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ আহ্বান জানান তিনি। এ সময় ইউএই, মালয়েশিয়া, ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। দুবাই ওয়ার্ল্ড এক্সপোতে ফুড, এগ্রিকালচার ও লাইভলিহুডস সপ্তাহ উপলক্ষে কৃষি মন্ত্রণালয়, খাদ্য মন্ত্রণালয় এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এ সেমিনারের আয়োজন করে।

মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ আজ অনেক ফসলে উদ্বৃত্ত। শাকসবজি, ফলমূল, মাছসহ বিভিন্ন কৃষিপণ্যের রপ্তানির সম্ভাবনাও অনেক। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কৃষিপণ্যের রপ্তানি হচ্ছে যা মূলত প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে। তিনি বলেন, আমরা বিদেশের মূল বাজারে প্রবেশ করতে চাই। সে জন্য নিরাপদ কৃষিপণ্য উৎপাদন, অ্যাক্রেডিটেড ল্যাব স্থাপন ও সার্টিফিকেট দেওয়াসহ অনেকগুলো উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। আপনারা বাংলাদেশ থেকে কৃষিপণ্য রপ্তানিতে এগিয়ে আসুন। বাংলাদেশ সরকার সকল সহযোগিতা প্রদান করবে।

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সায়েদুল ইসলাম, খাদ্য-সচিব মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম। সভাপতিত্ব করেন সংযুক্ত আরব আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. আবু জাফর। সঞ্চালনা করেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. রুহুল আমিন তালুকদার। স্বাগত বক্তব্য রাখেন দুবাইয়ের কনসাল জেনারেল বিএম জামাল হোসেন। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার ও নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সদস্য মনজুর মোর্শেদ। এ সময় বাংলাদেশের কৃষি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদে অর্জিত সাফল্য এবং নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে নেওয়া পদক্ষেপ তুলে ধরা হয়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন