বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

বিত্তবানদের ঘরে হতদরিদ্রদের চাল

প্রকাশের সময় : ৬ নভেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

গোপালগঞ্জ জেলা সংবাদদাতা

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় হতদরিদ্রদের ১০ টাকা কেজি দরের চাল পাচ্ছে বিত্তবানরা। ফলে বঞ্চিত হচ্ছে এলাকার হতদরিদ্র জনগণ। স্থানীয় ইউপি সদস্য অর্থের বিনিময়ে এসব কার্ড দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সরেজমিনে জানা গেছে, উপজেলার হিরন ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের তারাশী গ্রামের আমিনুর তালুকদারের স্ত্রী লুকার বেগম (৩০) হতদরিদ্র কার্ড পেয়েছে। আমিনুর তালুকদার একজন ব্যবসায়ী। তার বাড়িতে বিল্ডিং রয়েছে। এছাড়া আমিনুরের বড় ভাই মিজানুর রহমান (৪৩) হতদরিদ্রদের কার্ড পেয়ে দু’দফা চাল উত্তোলন করেছে। তার বাড়িতেও পাকা ভবন রয়েছে। একই গ্রামের একিন মোল্লার ছেলে খলিল মোল্লা হতদরিদ্রের কার্ড পেয়েছে। খলিল মোল্লার দুই ছেলে বিদেশ থাকেন। তাছাড়া এলাকার ধনাঢ্য পরিবারের সন্তান ব্যবসায়ী শহীদুল ইসলাম (৫০) হতদরিদ্রের কার্ড পেয়ে দু’দফা চাল উত্তোলন করেছেন। শহীদুল ইসলাম মাঝবাড়ি গ্রামের মহম্মদ আলীর ছেলে। অপরদিকে তারাশী গ্রামের সুখচাঁন ম-লের ছেলে হতদরিদ্র মানিক ম-ল (৩৮), হতদরিদ্র সুনিল পান্ডে (৪০), মৃত্যু নরেন দাসের ছেলে ক্যান্সার আক্রান্ত হতদরিদ্র দশরথ দাস (২৫) হতদরিদ্র কার্ড পায়নি। হতদরিদ্র মানিক ম-ল বলেন, আমার কাছে স্থানীয় মেম্বার মহর আলী পাঁচশ’ টাকা চেয়েছিল। আমি টাকা না দিতে পারায় মেম্বার আমাকে হতদরিদ্র কার্ড দেয়নি। আমিনুর তালুকদারের স্ত্রী লুকার বেগম বলেন, মেম্বার মহর আলী আমাদের কাছ থেকে দুইশ’ টাকা নিয়ে কার্ড দিয়েছে। এব্যাপারে ইউপি সদস্য মহর আলী হতদরিদ্রের তালিকায় বিত্তবানদের নাম থাকার কথা স্বীকার করে বলেন, আমি প্রথম যে তালিকাটি করেছিলাম সে তালিকা তৈরি করতে আমার অনেক ভুল হয়েছে। আমি ওই তালিকা সংশোধন করে খাদ্য অফিসে নতুন তালিকা জমা দিয়েছি। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি হতদরিদ্রের কার্ড দিতে কারো কাছ থেকে কোনো টাকা নেইনি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার বলেন, হতদরিদ্রদের তালিকা তৈরিতে কোনো অনিয়ম হয়ে থাকলে ওই ইউপি সদস্যর বিরুদ্ধে ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন