বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

জঙ্গিবাদ অপশক্তি দমনে সরকার ও পীর মাশয়েখদের একযোগে কাজ করতে হবে : আল্লামা বাহাদুর শাহ

প্রকাশের সময় : ৬ নভেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : ধর্মীয়, আধ্যাত্মিক ও সামাজিক সংস্থা বাংলাদেশ আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআ’ত এর উদ্যোগে গতকাল দুপুরে রমনাস্থ’ ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ওলামা মাশায়েখ সম্মেলনে সংগঠনের প্রেসিডেন্ট আল্লামা সৈয়দ বাহাদুর শাহ্ মোজাদ্দেদী বলেছেন, অভিশপ্ত জঙ্গিবাদ এখন শুধু জাতীয় সমস্যা নয়। আন্তর্জাতিক হুমকি হিসেবে চিহ্নিত। ক্রমবর্ধমান অব্যাহত বোমাবাজি, অস্ত্রবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকা-ের মাধ্যমে স্বাধীনতাবিরোধী চক্র ও জঙ্গিবাদীরা রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাসমূহ ধ্বংস করে, সুন্নী ওলামা মাশায়েখদের খুন ও হামলা করে, মসজিদ মাজার ঈদগাহে বোমা মেরে ও ধর্মীয় উপাসনালয় সমূহে হামলা করে গোটা দেশকে আতঙ্কের জনপদে পরিণত করতে চায়। এ অপশক্তি প্রতিরোধে দেশের সম্মানিত আলেম-ওলামা ও পীর-মাশায়েখদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে সক্রিয় ও বলিষ্ট ভূমিকায় এগিয়ে আসতে হবে। আল্লামা সভাপতির বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, জঙ্গিবাদি অপশক্তি ধর্মের নামে নিরীহ মানুষ হত্যার মাধ্যমে তথাকথিত “ইসলামিক স্টেট” প্রতিষ্ঠার যে দুঃস্বপ্ন দেখছে, তা আল্লাহ ও রাসুলের আদর্শের বিরোধী ইসলাম ধর্ম সমর্থন করে না।
তিনি বলেন, মওদুদীবাদি জামাত, ওহাবী, সালাফি লা-মাযহাবীসহ সকল বাতিল মতবাদের দৌরাত্ম্য ও আস্ফালন প্রতিরোধে দেশের হক্কানী আলেম-ওলামা, পীর-মাশায়েখদের সম্মিলিত বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তোলা আজ সময়ের দাবি। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী ও সরকারের জিরো টলারেন্স এর কারণে বাংলাদেশ শান্তির পথে এগিয়ে যাচ্ছে।
এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে দানকালে ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ এর মহাসচিব আল্লামা অধ্যক্ষ জয়নুল আবেদীন জুবাইর বলেন, সুন্নিয়তই যে ইসলামের সঠিক রূপরেখা। সরকারের জঙ্গিবাদবিরোধী বিভিন্ন পদক্ষেপের পরও জাতীয় জীবনে বাতিল সালাফি জামায়াতি অপশক্তি জগদ্দল পাথরের ন্যায় চেপে বসেছে।
কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক পীরে ত্বরিক্বত আল্লামা খাজা আরিফুর রহমান তাহেরী বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ফেসবুকে পবিত্র কাবা শরীফের অবমাননার কারণে মন্দিরে হামলা ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, শান্তির বার্তাবাহী দ্বীন ইসলামের বিন্দুমাত্র অবমাননা যেমনি সহ্য করা হবে না, ঠিক তেমনি ইসলাম ও আহলে সুন্নাতের নাম ভাঙিয়ে সংখ্যালঘু নির্যাতন ও ভিনধর্মী মতাবলম্বীদের উপাসনালয় ও বাড়ি-ঘরে নারকীয় হামলাও ইসলাম সমর্থন করে না।
বক্তারা কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া থানা এলাকায় মসজিদের মধ্যে মল ছুঁড়ে দেয়া, পবিত্র গ্রন্থ’ কুরআন শরীফের অবমাননা এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় ফেসবুকে পবিত্র কাবা শরীফের অবমাননা ও তার পরে সংখ্যালঘুদের উপর হামলার তীব্র প্রতিবাদ ও এসব ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত করে দায়ী ও দোষী ব্যক্তিদের সর্বোচ্চ ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। নেতৃবৃন্দ বলেন, দেশের মানুষ নিজ নিজ ধর্মচর্চা করে অন্য ধর্মের অনুসারীদের সাথে সহনশীল সহাবস্থানে বিশ্বাসী। অথচ চিহ্নিত নাস্তিক্যবাদী ও জামাত জঙ্গিচক্র মহল মানুষের ধর্মীয় চেতনা ও অনুভূতিতে আঘাত করে মানুষকে সাম্প্রদায়িক হানাহানিতে লিপ্ত রাখছে। সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ উপদেষ্টাম-লীর সদস্য ও ইসলামিক ফাউন্ডেশন এর গভর্নর আল্লামা শায়খ খন্দকার গোলাম মাওলা নকশেবন্দী, ইমামে রাব্বানী দরবার শরীফের ছাহেবজাদা আল্লামা সৈয়দ জাহান শাহ মোজাদ্দেদী আল আবেদী, শুকছড়ি দরবার শরীফের পীর ছাহেব হযরত আল্লামা সৈয়দ নাছেরুল হক চিশতী, আল্লামা হাবিবুল্লাহ বাগদাদী আল কাদেরী, অধ্যাপক ড. আল্লামা আতাউর রহমান মিয়াজী, ড. আল্লামা আবদুল্লাহ আল মারুফ, ড. আল্লামা এএসএম বোরহান উদ্দীন, অধ্যাপক আল্লামা হাফেজ মুহাম্মদ নুর হোসাইন, অধ্যাপক আল্লামা এমদাদুল হক, অধ্যক্ষ আল্লামা এসএম ফরিদউদ্দীন, অধ্যক্ষ আল্লামা কাজী আনোয়ারুল ইসলাম খান, হযরত শাহজাদা ছুফি আতিকুল মিল্লাত, হযরত আল্লামা এরশাদ উল্লাহ রজায়ী, অধ্যক্ষ মুফতি ফখরুল ইসলাম মোজাদ্দেদী, অধ্যক্ষ আল্লামা হাছান রেজা আল কাদেরী, হযরত শাহজাদা সৈয়দ শামসুদ্দীন, অধ্যক্ষ আল্লামা কাজী আবদুল হান্নান, অ্যাডভোকেট এম. আবু নাছের তালুকদার, এম. সোলায়মান ফরিদ, অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, আল্লামা ছালেহ আহমদ আনছারী, অধ্যক্ষ আল্লামা শামসুদ্দোহা, আল্লামা হেলাল উদ্দীন আল কাদেরী, আল্লামা এম.এ মনছুর মোল্লা, আল্লামা রফিকুল ইসলাম হেলালী, অধ্যক্ষ আল্লামা মফিজুর রহমান আবেদী, অধ্যক্ষ মুহাম্মদ আলী নকশেবন্দী, আল্লামা হাসনাইন আহমদ আল কাদেরী, আলহাজ এইচএম মুজিবুল হক শুক্কুর প্রমূখ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন