শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

সীতাকুন্ডে স্বাস্থ্য বিভাগের ব্যতিক্রমী উদ্যোগ, গণটিকা পেল ৯শ’মানুষ

সীতাকুন্ড (চট্টগ্রাম) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ৯:২৫ পিএম

আইডি কার্ড, রেজিষ্ট্রেশন বা মোবাইল নম্বর ছাড়াই গণটিকা টিকা পেল বিভিন্ন পেশার প্রায় ৯শ’ মানুষ। কোন আইডি কার্ড লাগছে না। একেবারে খালি হাতেই এসে যে কেউ নিতে পারছেন করোনার টিকা। বুধবার বিকাল ৩টা থেকে সীতাকুন্ড পৌরসদর মোহন্তেরহাটে সরেজমিনে এসে সীতাকুন্ড উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ এ ধরণের একটি ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়ে গণটিকা কার্যক্রম পরিচালনা করতে দেখা গেছে। এতে ব্যাপক সাড়াও পাওয়া যায়। হ্যান্ড মাইকে টিকা কার্যক্রমের ঘোষণার সাথে সাথেই সেখানে ভিড় জমাতে শুরু করেন টিকা না নেওয়া, রিক্সা চালক, ট্যাক্সি চালক, পৌরসদর বাজারের বিভিন্ন ব্যবসায়ী, ছাত্রসহ নানান শ্রেণি পেশার সাধারণ মানুষ। তারা অতি আনন্দে টিকা নিতে দেখা যায়।

এছাড়া সীতাকুন্ড প্রেসক্লাব চত্বরে এই টিকা কার্যক্রম পরিচালনা করছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ডা. নুর উদ্দিন রাশেদ। তার নির্দেশনায় উপজেলার স্বাস্থ্য সহকারী সুরেশ দাশ, মিল্লাত, জামাল, জাকির গ্রহীতাদের করোনার টিকা প্রদান করছেন এবং তাদেরকে সহযোগিতা করছেন ৮জন স্বেচ্চাসেবক। এখানে টিকা নিয়ে অত্যন্ত খুশি চালক সুমন দাস, মোঃ সেলিমসহ অনেকে।

তারা জানান, তারা দীর্ঘদিন ধরে টিকা নিতে পারেনি। টিকা কেন্দ্রগুলোতে দীর্ঘ লাইন দেখা যায়। তারা বলেন, টিকা দিতে রেজিষ্ট্রেশন, আইডি কার্ডসহ নানান কিছু প্রয়োজন হয়। এসব জটিলতার কারণে এতদিন টিকা নিতে পারছিলাম না।কিন্তু আজকে এখানে দেখি টিকা নিতে কোন কাগজপত্রই লাগছে না। তাই এ সুযোগ আর হাত ছাড়া করিনি। সাথে সাথে বসে পড়েছি টিকা নিতে। একইভাবে টিকা পেয়ে উচ্ছ¡সিত হন অপর এক রিক্সা চালক রহিম উল্লাহ। তিনিও একই কথা বললেন টিকা নিতে এসে। কোন জটিলতা না থাকায় তিনি দ্রুত টিকা দিতে পেরেছেন আর এ ধরণের সুন্দর উদ্যোগের জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে ধন্যবাদ জানান তারা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সীতাকুন্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. নুর উদ্দিন রাশেদ দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, পথে পথে আমরা ঘুরে ঘুরে সবাইকে টিকা দিচ্ছি। এর কারণ কেউই যেন টিকা থেকে বঞ্চিত না হয়।আর যারা নানান কারণে টিকা নিতে পারেননি সবাই যেন টিকার আওতায় আসে সে জন্যই এ কার্যক্রম। তিনি আরো বলেন, আমরা যে এ এভাবে সাড়া পাবো তা কখনো ভাবিনি। ঘোষণা দিয়ে সীতাকুন্ড প্রেস ক্লাবের সামনে দাড়ানোর সাথে সাথে এখানে সব বয়সী মানুষের ভিড় জমে যায়। বিকাল ৩টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ৮৩৫ জনকে টিকা প্রদান করা হয়েছে। তবে আমরা ২ হাজার টিকা দেবার প্রস্তুতি নিয়েছি এসেছি। কেউ যেন বাদ না যায়। ভবিষ্যতে এই কার্যক্রম চলমান থাকবে। এদিকে গণটিকা কার্যক্রমে উপস্থিত থাকা সীতাকুন্ড পৌরসদর ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মোঃ রেজাউল করিম বাহার বলেন, খব সুন্দর উদ্যোগ উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের। তাই তাদের আমরা ধন্যবাদ জানাই।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন