ঢাকার সাভারের আশুলিয়ায় যে জুতা তৈরির কারখানায় আগুন লেগে তিন শ্রমিক নিহত হয়েছে সেই কারখানাটির কোন অনুমোদনই ছিল না। এছাড়া অগ্নিকাণ্ডে তিন জন নিহত হলেও দুই জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। গত বুধবার বিকেলে আশুলিয়ার টঙ্গাবাড়ি বঙ্গবন্ধু রোড এলাকার ‘ইউনি ওয়ার্ল্ড ফুটওয়্যার লিমিটেড-২’ নামের জুতা প্রস্তুতকারী কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিসের সাতটি ইউনিট প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। অগ্নিকাণ্ডে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে দুই জন নারী ও এক জন পুরুষ।
রাতেই নিহতদের মধ্যে দুই জনের পরিচয় পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন আশুলিয়া থানার এসআই সুদীপ কুমার গোপ। নিহতরা হচ্ছেনÑ টাঙ্গাইল জেলার সদর থানার মালতী পাড়া গ্রামের ইমরাত হোসেনের মেয়ে সুমাইয়া আক্তার। সে কারখানাটির মাশে রুপায়ন মাঠে সোহরাব উদ্দিনের বাসায় পরিবারসহ বসবাস করতো। গত চার মাস আগে এই জুতার কারখানায় কাজ নেয় সে।
অপরজন খুলনা জেলার পাইকগাছা থানার খড়িয়া গ্রামের হামিদ মিয়ার স্ত্রী শাহানারা বেগম। কারখানার পাশে রুপায়ন মাঠের জুয়েল হোসেনের বাড়িতে স্বামীসহ বসবাস করতেন। গত দুই মাস আগে কারখানায় কাজে যোগ দেয় সে। গত বুধবার রাতেই পুড়ে যাওয়া জুতা তৈরির কারখানাটি পরিদর্শন করেন সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম। পরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে তিন শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। কারখানটির কোনো ধরনের অনুমোদন ছিল না। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে কারখানাটির নামে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ থেকে কোন ট্রেড লাইসেন্সও ইস্যু করা হয়নি।
ফায়ার সার্ভিসের ঢাকা জোন-৪ এর উপ সহকারী পরিচালক আবদুল আলিম বলেন, আমরা তিনটি লাশ উদ্ধার করেছি। মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে দুইজন নারী ও একজন পুরুষ রয়েছে। এদের মধ্যে দুইজন শ্বাসকষ্টে, আর একজন আগুনে পুড়ে মারা গেছেন। তবে আগুনের সূত্রপাত কিভাবে তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম আরও বলেন, কারখানাটির মালিক কর্মকর্তা কাউকেই পাওয়া যায়নি। তাদের বিরুদ্ধে আশুলিয়া থানায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া নিহত তিনজনের প্রত্যেকের স্বজনদের লাশ দাফনের জন্য জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে ২৫ হাজার করে টাকা দেওয়া হবে। আর লাশ সনাক্তের পর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন