আশরাফুল ইসলাম নূর, খুলনা থেকে : ওপেন মার্কেট সেল (ওএমএস) অর্থাৎ সরকারের ভর্তুকি মূল্যে খোলা বাজারে বিক্রির চাল নিয়ে নানা দুর্নীতি তদন্তে খুলনায় আসছে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের টিম। আজ সোমবার সকালে খুলনায় পৌঁছাতে পারেন এ দুই সদস্যের টিম। ওএমএস ডিলার সমিতির নেতৃবৃন্দও বলছেন, অনিয়মের সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হোক। এ ক্ষেত্রে খাদ্য বিভাগকে আমরা সহযোগিতা করবেন তারাও। অপরাধীদের চিহ্নিত করে আইনানুগ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চান খুলনার ডিলাররাও। উল্লেখ্য, গত ২২ অক্টোবর দৈনিক ইনকিলাবে ‘খুলনায় ওএমএসের চাল কালোবাজারীদের পকেটে’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল।
খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ের সূত্র জানান, খুলনায় গত ২ নভেম্বর ওএমএস কর্মসূচির চাল চুরি ঘটনা তদন্ত করতে আজ সোমবার খুলনায় আসছেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের দুই সদস্যের তদন্ত কমিটি। মূলত তদন্ত কমিটির আগমন এবং একের পর এক চুরি ধরা পড়ে যাওয়ায় প্রকাশ্যে চাল বিক্রি শুরু হয়েছে। এতে দীর্ঘ দিন পর ১৫ টাকা দামে চাল কিনতে পারছে মানুষ। খুলনায় খোলাবাজারে চাল বিক্রির কর্মসূচি শুরু হয়েছে গত ১৬ অক্টোবর থেকে। সেই থেকে প্রতিদিন মহানগরীতে ৪০ জন ডিলার ৮০ হাজার কেজি করে চাল বিক্রি করছেন। অথচ এতোদিন প্রকাশ্যে চাল বিক্রির বিষয়টি খাতাকলমেই সীমাবদ্ধ ছিল। ট্রাকে চাল বিক্রি করতে দেখা গেছে হাতেগোনা। সবার মাঝেই এখন প্রশ্ন, গত ১৩-১৪ দিনের চাল কোথায় গেল ?
সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, গত ২ নভেম্বর খুলনা জেলার ফুলতলার ১৪ মাইল এলাকা থেকে ১৩ হাজার ৬০০ কেজি চালসহ একটি ট্রাক আটক করেছিল র্যাব। র্যাবের তদন্তে জানা যায়, ওএমএস ডিলাররা কেন্দ্রীয় খাদ্যগুদাম থেকে উত্তোলনের সময় শ্রমিক নেতাদের কাছে এই চাল বিক্রি করে দিয়েছিলেন। এর আগে গত ২৫ অক্টোবর শেখ আবু নাসের হাসপাতালের সামনে থেকে পাচারের সময় আরো ১৬ বস্তা চাল আটক করা হয়েছিল। এই চালও ছিল ওএমএস কর্মসূচির।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন