জাপানে মার্কিন পারমাণবিক অস্ত্র রাখতে দেওয়ার কথা বিবেচনা করতে টোকিওর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন সাবেক প্রভাবশালী প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে। ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসন এবং তাইওয়ানে চীনা আগ্রাসনের হুমকি বাড়তে থাকার কথা উল্লেখ করে এই আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। তবে শিনজো আবের এই আহ্বানে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে চীন। এতে করে নতুন করে চীন-জাপান উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। ২০২০ সালে পদত্যাগের আগে রেকর্ড পরিমাণ প্রতিরক্ষা ব্যয় বাড়ান শিনজো আবে। তিনি বলেন, ইউরোপে যুদ্ধে ছড়িয়ে পড়ার পর পারমাণবিক অস্ত্র রাখা নিয়ে জাপানের ভীতি বাদ দেওয়া উচিত। এক টিভি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘ন্যাটো, জার্মানি, বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ডস এবং ইতালি পারমাণবিক (অস্ত্র) ভাগাভাগি করছে, আমেরিকার পারমাণবিক অস্ত্র রাখছে। আমাদের বোঝার দরকার সারা বিশ্বে কিভাবে নিরাপত্তা বজায় রাখা হচ্ছে এবং এটিকে আর ট্যাবু হিসেবে না দেখে খোলামেলা আলোচনা দরকার।’ পারমাণবিক বোমায় আক্রান্ত একমাত্র দেশ জাপান। গত কয়েক দশক ধরেই দেশটি পরমাণুহীন তিনটি মূল নীতি মেনে চলছে। সেগুলো হচ্ছে, তারা কখনও পারমাণবিক অস্ত্র উৎপাদন করবে না, নিয়ন্ত্রণে রাখবে না এবং তাদের এলাকায় থাকতে দেবে না। পারমাণবিক অস্ত্র ভাগাভাগি নিয়ে বিতর্ক করতে শিনজো আবের আহ্বান দ্রুতই প্রত্যাখ্যান করেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা। তিনি বলেন, পরমাণুহীন থাকার তিন মূলনীতি বজায় রাখার অবস্থান ত্যাগের আহ্বান অগ্রহণযোগ্য। শিনজো আবের মন্তব্যের কড়া প্রতিক্রিয়া জানায় চীন। বেইজিংয়ে চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন বলেন, ‘জাপানি রাজনীতিবিদরা বারবার তাইওয়ান সংক্রান্ত ভুল বিশ্বাস ছড়াচ্ছে আর এমনকি চরমভাবে মিথ্যা মন্তব্য করছে যা দেশটির তিন পরমাণুহীন নীতির লংঘন।’ ওয়াং ওয়েনবিন বলেন, ‘আমরা জাপানকে জোরালোভাবে নিজেদের ইতিহাসের দিকে তাকাতে বলছি’। তিনি টোকিওকে তাইওয়ান ইস্যুতে কথায় ও কাজে সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দেন। গার্ডিয়ান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন