বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

সংযোগ সড়ক ছাড়াই দাঁড়িয়ে দু’যুগ

মো. সোহেল রানা খান, সাটুরিয়া (মানিকগঞ্জ) থেকে | প্রকাশের সময় : ৫ মার্চ, ২০২২, ১২:০৪ এএম

মানিকগঞ্জ জেলার সাটুরিয়া উপজেলার দিঘুলীয়া ইউনিয়নের আঙ্গুটিয়া এলাকায় গ্রামের ভেতর সড়ক দিয়ে চলার পথে চোখে পড়বে প্রায় দুই যুগ পূর্বে নির্মিত একটি ব্রিজ। নির্মাণের পর থেকেই অব্যহৃত অবস্থায় সংযোগ রাস্তা ছাড়াই দাঁড়িয়ে আছে ব্রিজটি।

তবে মজার বিষয় হচ্ছে, সাটুরিয়া উপজেলা প্রকৌশলী নাজমুল করিম এতো বছর ধরে ব্রিজটির অব্যহৃত অবস্থায় পরে থাকলেও ব্রিজটি সম্পর্কে কোন তথ্য জানে না। ব্রিজ সর্ম্পকে সংবাদিকদের দিতে পারেনি কোন তথ্য।

জানা যায়, উপজেলার দিঘুলীয়া ইউনিয়নের বেংরোয়া থেকে আংগুটিয়া দিয়ে পুরশুরা যাওয়ার রাস্তার আংঙ্গুটিয়া এলাকায় খালের ওপর প্রায় দুই যুগ পূর্বে নিমাণ করা হয়েছিল ব্রিজটি। যে খালে নির্মাণ করা হয়েছিল ব্রিজটি সে খাল ভরাট হয়ে এখন রাস্তা হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। ব্রিজের নিচ দিয়ে চলাচল করে মানুষ। ব্রিজটি ব্যবহৃত হচ্ছে স্থানীয়দের গরুর গোবর শুকানোর কাজে।

ব্রিজটিতে সাঁটানো কোন ফলক না থাকায় এটির নির্মাণ সম্পকে বিস্তারিত জানা যায়নি। আর ব্রিজটি সম্পর্কে খোঁজ নিতে সাটুরিয়া উপজেলা প্রকৌশলীর দপ্তরে একাধিকবার যোগাযোগ করলেও সাটুরিয়া উপজেলা প্রকৌশলী নাজমুল করিম এ বিষয়ে কিছু জানাতে পারেনি।

সরেজমিনে দেখা যায়, সংযোগ সড়কের অভাবে ব্রিজটি কাজে আসে না। এতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে গ্রামের লোকজন। দীর্ঘদিনের ব্রিজটি ব্যবহারের উপযোগী না করায় তা ভেঙে ফেলার দাবি তুলেছে স্থানীয় বাসিন্দারা সেতু ভাঙার জন্য তারা কয়েক বছর আগে উপজেলা প্রশাসনের কাছে লিখিত আবেদন করেছিল এরপরেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।

স্থানীয় তমেজউদ্দিন মাস্টার বলেন, ব্রিজটি নির্মাণ করার পর দীর্ঘদিনেও সংযোগ রাস্তা না হওয়ায় এটি অব্যহৃত অবস্থায় পরে আছে। ব্রিজটির নিচ দিয়ে রাস্তা বানিয়ে চলাচল করে স্থানীয়রা। ব্রিজটির কারণে বড় গাড়ি কিংবা ভ্যান ভরে কোন কিছু রাস্তা দিয়ে নিয়ে যাওয়া যায় না। ব্রিজটি ভেঙে ফেললে স্থানীয়দের চলাচলে সুবিধা হবে।

স্থানীয় কলেজ ছাত্র সবুজ মিয়া জানায়, গ্রামের খালে বর্ষাকালে অন্তত চার মাসে পানি থাকে তখন শিক্ষার্থী ও গ্রামের লোকজন চলাচলের জন্য বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করে দেয়া হয় ওই সাঁকোর ওপর দিয়ে ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা চলাচল করতে পারে না।

পরিষদের সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল হালিম বলেন, তার আমলে তৎকালীন ইউপি চেয়ারম্যান খোকন চেয়ারম্যানের উদ্যোগে সেতুটি নির্মাণ করা হয়।
রাস্তা না থাকায় এলাকাবাসী সেতু নির্মাণে বাধা দিয়েছিল বাধা উপেক্ষা করে সেখানে সেতু নির্মাণ করা হয়।
এ প্রসঙ্গে সাটুরিয়া উপজেলা প্রকৌশলী মো. নাজমুল করিম বলেন, ব্রিজটি অনেক আগের নির্মিত। ব্রিজটি সর্ম্পকে কোন তথ্য এ দপ্তরে নেই। ব্রিজটি অন্য কোন দপ্তর থেকে নির্মাণ করা হয়েছে কি না তাও তিনি জানাতে পারেনি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন