শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

মহাকাশযান ধসে চাঁদে নয়া কলঙ্ক

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৫ মার্চ, ২০২২, ১২:০৪ এএম

প্রায় সাড়ে চারশো কোটি বছর ধরে অজস্র উল্কাপাতে ক্ষতবিক্ষত চাঁদের মুখে কলঙ্কের সংখ্যা বাড়তে চলেছে। তবে আজ চাঁদের উপর ১৯ মিটার চওড়া যে গহ্বর তৈরি হতে চলেছে, তার দায় পুরোপুরি মানুষের। এ বার আর মহাকাশ থেকে ছটকে আসা কোনও পাথরের টুকরো নয়, বছর সাতেক আগে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র নাসা-র উৎক্ষেপণ করা একটি মহাকাশযান বিকল হয়েই এমন ঘটনা ঘটতে চলেছে।

হোক ওই মুখ ‘ক্ষতবিক্ষত’, তাই বলে আরও একটা ক্ষতচিহ্ন ‘উপহার’ দিতে হবে চাঁদকে? বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় একদিকে যেমন চলছে এমন রসিকতা তেমনই কোনও কোনও মহল প্রশ্ন তুলছে নিষ্প্রাণ, মৃত্যুপুরী চাঁদের বদলে যদি ওই মহাকাশযান ফিরে আসত পৃথিবীর দিকেই! আরো কিছুটা দায়িত্ববান হওয়া কি যেত না?
কী হয়েছিল ২০১৫-তে? কেন আরো একটা কলঙ্কের ভাগী হতে হচ্ছে চাঁদকে? মহাকাশবিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, ২০১৫ সালে নাসা মহাকাশের আবহাওয়া পর্যবেক্ষণের জন্য একটি মহাকাশযান উৎক্ষেপণ করেছিল। ডিপ স্পেস ক্লাইমেট অবজারভেটরি বা ডিসকভার নামের মহাকাশযান যান মহাশূন্যে পাঠানো হয়েছিল একটি স্পেস-এক্স ফ্যালকন-৯ রকেটের মাধ্যমে। কিন্তু যান্ত্রিক সমস্যার জন্য ওই রকেট প্রয়োজনীয় গতিবেগ অর্জন করতে পারেনি। ফলে সূর্যের চারদিকে স্বাধীন ভাবে ঘুরতে থাকা তার পক্ষে সম্ভব হয়নি। ওই ত্রুটির জন্যই রকেটের উপর বসানো মহাকাশযানটি পৃথিবীতে নিরাপদে ফিরিয়ে আনাও যায়নি। ২০১৫-র ফেব্রুয়ারি থেকে ১৪ মিটার দীর্ঘ এবং প্রায় সাড়ে তিন টন ওজনের ওই যন্ত্রাংশ সূর্য, পৃথিবী এবং চাঁদের আকর্ষণের দড়ি টানাটানির মাঝে পড়ে এলোমেলো ভাবে ঘুরে বেড়িয়েছে।
তিন মহাজাগতিক বস্তুর আকর্ষণের লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত জিত হয়েছে চাঁদেরই। তবে ওই জয়ের খেসারত দিতে গিয়ে তার শরীরে যোগ হতে চলেছে আরও একটি ক্ষতচিহ্ন। মহাকাশবিজ্ঞানীদের হিসাব বলছে, গতকাল শুক্রবার চাঁদের যে পিঠটি পৃথিবী থেকে দেখা যায় না, সেই পিঠে সাড়ে তিন টন ওজনের এই যন্ত্রাংশ ঘণ্টায় দু’লক্ষ ২৪ হাজার ৬৪০ কিলোমিটার গতিতে আছড়ে পড়তে চলেছে। তারই অভিঘাতে চন্দ্রপৃষ্ঠে তৈরি হবে ১৯ মিটার চওড়া একটা গহ্বর। সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন