ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের (মমেক) সার্জারি বিভাগের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির মিথ্যা অপবাদ ছড়ানোর অভিযোগে কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকসহ ১০ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে একাডেমিক কার্যক্রম থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
এর মধ্যে এ বানোয়াট ঘটনার ‘নাটের গুরু’ মমেক শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল হাসানকে ৩ বছরের জন্য বহিষ্কার করেছে একাডেমিক কাউন্সিল। সেই সাথে ৫৫ ব্যাচের ফয়জুর রহমান আকাশ ও তামান্না তাসিকিনকে দুই বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।
একই সাথে এক বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে আরও ৭ জনকে। তারা হলেন- সুনীতি কুমার দাস, সানবীম খান, মাহিদুল হক, তানবিন হাসান, কাশফি তাবরীজ, রাজু কর্মকার ও সাখাওয়াত হোসেন সিফাত।
এছাড়াও একই ঘটনায় আরও ৮ শিক্ষার্থীকে সতর্ক করা হয়েছে। তারা হলেন- মাহমুদুজ্জামান, মেহরাব হোসেন, নাজমুস সাকিব, রিজভী আল নাহিয়ান হিয়া, জিম রহমান, সাকিব খান শাওন, জেরিন তাসনিম ও জিহাদুল হক তাঈব।
শনিবার (৫ মার্চ) সন্ধ্যা ৬ টায় এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন নিশ্চিত মমেক অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. চিত্তরঞ্জন দেবনাথ।
তিনি জানান, গত ২৩ ফেব্রুয়ারি মমেক হাসপাতালের সামনে কথিত এক শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানীর অভিযোগ তোলে প্রফেসর ডাঃ আবুল কালাম আজাদের অপসারণ দাবি করে মানববন্ধন করে একদল শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনায় মমেক হাসপাতালের ভেতরে বাইরে আলোচনা-সমালোচনা সৃষ্টি হলে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
ওই তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে জানা যায় ‘যৌন হয়রানীর অভিযোগ পূর্বপরিকল্পিত এবং উদ্দেশ্যমূলক’। পরে কলেজের একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এ ঘটনায় জড়িত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এতে ১০ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার ও ৮জনকে সর্তক করা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন