২৫০ বছরের ঐতিহ্যবাহী ভারতীয় উপমহাদেশের প্রাচীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সরকারি মাদরাসা-ই-আলিয়া আজ ধ্বংসের মুখে। স্বাধীনতার সপক্ষের শক্তি আওয়ামী লীগ সরকারের মধ্যে লুকিয়ে থাকা কিছুসংখ্যক কুচক্রী মহলের ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে পড়েছে মাদরাসাটি। ষড়যন্ত্রকারীরা মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের ভবন তৈরির নামে মাদরাসার একমাত্র ছাত্রাবাস আল্লামা কাশগরী হলের সুপার ও সহ-সুপারের বাসভবন ভেঙে ফেরার জন্য দরপত্র কার্যাদেশ জারি করেছে। গতকাল শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মাদরাসা-ই-আলিয়ার সাবেক ছাত্রবৃন্দ এসব কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে রাজধানীর সরকারি মাদরাসা-ই-আলিয়া ছাত্রাবাস, সুপার ও সহ-সুপারের বাসভবন ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি জানানো হয়েছে। এটি বাস্তবায়নে পাঁচ দফা দাবি জানিয়েছেন সাবেক ছাত্ররা।
সাবেক ছাত্র নেতারা বলেন, ষড়যন্ত্রকারী মহল অধিদপ্তর নির্মাণের নামে ঐতিহ্যবাহী মাদরাসা ধ্বংসের লক্ষ্যে মাদরাসার প্রিন্সিপাল অধ্যাপক আলমগীরকে সরকারি প্রটোকলে ফেলে তাদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছে। সে কারণে ছাত্রদের হল থেকে জোরপূর্বক বের করে দিলেও আন্দোলনের মুখে আবারও হল খুলে দেয়া হয়। হোস্টেল সুপার ও সহ-সুপারের সাবভবন থেকে বের করে দেয়া হয়েছে। একাডেমিক প্রধান মাওলানা অধ্যাপক আবদুল মান্নান এবং হোস্টেল সুপার মাওলানা মোস্তাফিজুর রহমানকে ওএসডি করা হয়েছে। আন্দোলরত ছাত্রদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে।
প্রস্তাবিত পাঁচ দফা দাবিগুলো হচ্ছে, বর্তমান প্রিন্সিপালের আর্থিক অনিয়মের কারণে তাকে অবিলম্বে চাকরিচ্যুত ও তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ। হল সুপার ও সহ-হল সুপারের বাসভবন ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত বাতিল করা। ছাত্রদের নামে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার করা। মাদরাসার জামি আগামী তিন মাসের মধ্যে ফেরত দেয়া ও শিক্ষার্থীদের জন্য পর্যাপ্ত আবাসিক হল নির্মাণ করা।
দাবি আদায়ে সাবেক শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে আজ রোববার সকালে মাদরাসার সামনে বিক্ষোভ, মানববন্ধন, প্রিন্সিপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ ও শেষে অনশন ধর্মঘট পালন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন