পুঠিয়ায় হোসনেয়ারা প্রান্তি (২০) নামের এক নারীর ঝুলন্ত মরদেহ নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। তার মৃত্যু কি আত্মহত্যা না হত্যা এ নিয়ে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। নিহত হোসনেয়ারা প্রান্তি পুঠিয়া পৌরসভার গন্ডগোহালী ওয়ার্ডের হাসানুজ্জামান বাবুর মেয়ে। শনিবার সকালে পুঠিয়া থানা পুলিশ একটি আমাগাছ থেকে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য রামেক হাসপাতালে পাঠায়। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওই নারীর মা-বাবা ও ভাইসহ পাঁচজনকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানাগেছে, গত তিন বছর পূর্বে পরিবারের অমতে পৌরসভার কাঁঠালবাড়িয়া ওয়ার্ডের আমজাদ হোসেনের ছেলে জিয়ারুল ইসলামের সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে প্রান্তি তার দাদার বাড়িতে বেড়াতে আসতো। গত সপ্তাহে সে তার দাদার বাড়িতে বেড়াতে আসে। গতকাল শুক্রবার রাতে খাবার খেয়ে সে ঘুমাতে যায়। গভীর রাতে তার দাদা তাহাজ্জতের নামাজ পরার জন্য উঠলে বাড়িতে প্রবেশের দরজা খোলা দেখে এবং প্রন্তির শয়ন কক্ষের দরজাও খোলা দেখে সবাইকে ডাকাডাকি শুরু করে। এসময় বাড়ির অন্যান্য সদস্যরা উঠে প্রান্তিকে খোঁজাখোঁজির এক পর্যায়ে বাড়ির পাশের একটি আম গাছের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়। পরে সকালে পুঠিয়া থানা পুলিশকে খবর দিলে থানা পুলিশ এসে তার লাশ উদ্ধার করে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে পুঠিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ সোহরাওয়ার্দী হোসেন বলেন, আমরা খবর পেয়ে মেয়েটির ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করি। মৃত্যুর সঠিক কারণ নিরূপণে ময়না তদন্তের জন্য রামেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট পাওয়া গেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ নিরূপণ করা যাবে বলে এ কর্মকর্তা জানান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন