শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

টুঙ্গিপাড়ায় ব্যাংক ডাকাতির পরিকল্পনা

চারজনকে গ্রেফতার করেছে ডিবি

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৭ মার্চ, ২০২২, ১২:০১ এএম

রাজধানীতে বসে টুঙ্গিপাড়ায় বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের শাখা ও গোপালগঞ্জ সদরে মন্দিরে ডাকাতির পরিকল্পনার অভিযোগে চারজনকে গ্রেফতার করেছে ডিবি। গ্রেফতারকৃতরা হলো- ইব্রাহীম চৌধুরী (২৮), লোকমান হাকিম ওরফে লিটন শেখ (৪৪), রিপন খান (২৬) এবং মাহাবুব মিয়া ওরফে মাবুদ মিয়া (৩৯)। শনিবার রাতে মোহাম্মদপুরের বছিলা এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। তাদের কাছ থেকে ডাকাতি করার সরঞ্জামাদি ও ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।

ডিবির তেজগাঁও জোনাল টিমের এডিসি মো. শাহাদত হোসেন সুমা বলেন, মোহাম্মদপুরের বছিলা রোডের স্বপ্নধরা এলাকায় কয়েকজন লোক ডাকাতির পরিকল্পনা করছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে শনিবার রাত সোয়া ৯টায় সেখানে অভিযান যায় গোয়েন্দা পুলিশ। কিন্তু পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে দৌড় দিলে ইব্রাহীম, লোকমান, রিপন ও মাহবুবকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত চারজনেই পেশাদার ডাকাতচক্রের সদস্য। তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে একাধিক ডাকাতি ও খুনের মামলা রয়েছে। তারা গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় একটি ব্যাংক ও মন্দিরে ডাকাতির পরিকল্পনা করেছিল। তাদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে বিস্তারিত তথ্য জানা এবং অন্যান্য সহযোগিদের গ্রেফতার করা হবে। তিনি আরও বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার মাহাবুব মিয়া জানায়, তার গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর এলাকায়। বর্তমানে আশুলিয়া এলাকায় থাকেন। ২০০৬ সালে একটি খুনের মামলায় প্রায় সাত বছর জেলে ছিলেন। জেল থেকে বেরিয়ে ডাকাতি করে বেড়াতেন। ২০১৮ সালে মাদারীপুরের রাজৈর থানায় একটি মেলায় ডাকাতি করতে গিয়ে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়। জেলে থাকা অবস্থায় তার সঙ্গে লোকমান হাকিমের সঙ্গে পরিচয় হয়। মাহাবুবের ভাষ্যমতে, তাদের সঙ্গে জেলে থাকা এক ব্যক্তি গোপালগঞ্জ সদরের বাইটকামারির একটি মন্দিরে একটি কষ্টি পাথরের মূর্তি ও একটি স্বর্ণের তৈরি পিঁড়ি রয়েছে বলে জানায়। মাসখানেক আগে লোকমান জেল থেকে বের হয়ে তাকে ফোন করে ওই মন্দিরে ডাকাতি করার পরিকল্পনা জানায়। পরিকল্পনা মতো লোকমান নিজে ওই মন্দিরে গিয়ে রেকি করে আসে।
তিনি বলেন, গ্রেফতার লোকমান জানায়, জেল থেকে বের হয়ে ইব্রাহীম, রিপন, মাহাবুবসহ অন্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করে নতুন একটি ডাকাত দল তৈরি করে। কোথায় ডাকাতি করলে একবারেই বেশি পরিমাণ অর্থ পাওয়া যাবে সেই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে প্রাথমিকভাবে তারা কৃষি ব্যাংকের ওই শাখা ও মন্দিরে ডাকাতি করবে বলে সিদ্ধান্ত নেয়। এর আগে দলের সিনিয়র এক সদস্যের নির্দেশনায় রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় ডাকাতি করতে এসে গোয়েন্দা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন