বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

ইন্টারনেটে একটি বিল আপলোড করেই হিরো!

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৯ মার্চ, ২০২২, ১২:২১ পিএম

এমনটা বলা হয়, যিনি সাহায্য করেন তিনিই শ্রদ্ধা পান। যুক্তরাজ্যে বর্তমানে, এমনই একজন ব্যক্তি তেমন সম্মানই পাচ্ছেন। পেশায় তিনি একজন প্লাম্বার। তবে কেন তার এত নাম-ডাক, সেই গল্পটা রীতিমতো মুগ্ধ করার মতো।

জেমস অ্যান্ডারসন নামের এই প্লাম্বার ইন্টারনেটে এমন কিছু করেছিলেন, যার পরে মানুষজন তার প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে গিয়েছেন। ইন্টারনেটে শেয়ার করা একটি রসিদে তিনি লিখেছেন- শূন্য মানে শূন্য। তা, শূন্য রাশির রসিদের মধ্যে এত কী বিশেষত্ব আছে যে মানুষজন এত প্রশংসা করছেন?

আসলে অ্যান্ডারসন ৯১ বছরের একজন বয়স্ক মহিলার বাড়িতে প্লাম্বিংয়ের কাজে যোগ দিয়েছিলেন। ওই বৃদ্ধ মহিলা বর্তমানে গুরুতর লিউকেমিয়ায় ভুগছেন। কাজ করার পরে অ্যান্ডারসন তার হাতে যে বিল ধরিয়ে দিয়েছিলেন তাতে তিনি শূন্য পরিমাণ অর্থ দাবি করেছিলেন। এই গল্পই যখন তিনি ইন্টারনেটে শেয়ার করেন তখন নেটাগরিকরা তার প্রশংসা করেছেন।

অ্যান্ডারসন শুধুমাত্র এই বয়স্ক মহিলাকেই সাহায্য করেননি। প্রকৃতপক্ষে, ২০১৭ সালে অ্যান্ডারসন তার ব্যক্তিগত ব্যবসা সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করে দিয়ে বয়স্ক এবং অক্ষম ব্যক্তিদের সাহায্য করার কাজে নিজেকে যুক্ত করেছিলেন। অ্যান্ডারসন শারীরিকভাবে অক্ষম এবং বয়স্ক ব্যক্তিদের সাহায্য করেন, প্রয়োজন মতো তাঁদের সম্পূর্ণ বিনামূল্যে পরিষেবাও প্রদান করেন। আশ্চর্যের বিষয়, এই বিনামূল্যের পরিষেবার কারণে, তাকে প্রায় ৮০০০ পাউন্ডের ঋণও স্বীকার করতে হয়েছিল। কিন্তু তিনি মনের জোর হারাননি।

অ্যান্ডারসন মেট্রো লুককে বলেছেন যে তিনি ঋণের বিষয়ে খুব একটা চিন্তিত নন। অ্যান্ডারসন এই বিনামূল্যের পরিষেবার জন্য একটি তহবিল সংগ্রহের প্রচারও শুরু করেছেন, যা সাধারণ মানুষের হাত থেকে সরাসরি সাহায্য সংগ্রহ করে। মাত্র ৪২ দিনের এই প্রচারে, অনেক মানুষই অ্যান্ডারসনকে সাহায্য করেছেন, এই মুহূর্তে ৪৯ হাজার পাউন্ডেরও বেশি তার তহবিলে জমা পড়েছে।

এই প্রচারের সময়, অ্যান্ডারসন যাদের সাহায্য নিয়েছিলেন তাদের আবেগঘন ভিডিও তিনি শেয়ার করেছেন। অ্যান্ডারসন জানিয়েছেন, তিনি এটা দেখার চেষ্টা করেন যে তার দেশের কোনও প্রতিবন্ধী বা বয়স্ক ব্যক্তি অসহ্য ঠান্ডায় প্লাম্বিংয়ের কাজ করানোর জন্য অর্থের অভাবে না ভোগেন। তিনি চান যে টাকার অভাবে কেউ যেন মারা না যায়। সব দিক থেকেই অ্যান্ডারসনের এই জীবনকাহিনী সবার জন্যই অনন্য শিক্ষামূলক। সূত্র: ডেইলি মেইল।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন