শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

মূলহোতা অসিম কুমার গ্রেফতার

ডিবিবিএল বুথের টাকা চুরি

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১০ মার্চ, ২০২২, ১২:০০ এএম

বেসরকারি ডাচ-বাংলা ব্যাংক লিমিটেডের (ডিবিবিএল) ২৩১টি বুথ থেকে টাকা চুরি ঘটনায় আরেক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় এ পর্যন্ত ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদের মধ্যে ৮ জনকেই গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। সর্বশেষ গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তির নাম অসিম কুমার সোম। গত মঙ্গলবার রাতে তাকে গ্রেপ্তার করে কাফরুল থানা পুলিশ। অসিম কুমার ডাচ-বাংলার বুথের নিরাপত্তা সংস্থা গার্ডা শিল্ডের ক্যাশ সার্ভিস বিভাগের সিনিয়র ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। সে ওই চক্রের মুলহোতা।
কাফরুল থানার ওসি পারভেজ ইসলাম জানান, বুথে টাকা চুরির সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে গত রোববার গার্ডা শিল্ড নিজেদের কর্মচারীদের বিরুদ্ধে একটি মামলা করে। মামলার এজাহারে অসিম কুমারের নাম রয়েছে। এজাহারে তার বিষয়ে বলা হয়, ব্যাংকের দুই কোটি ৪২ লাখ টাকা উধাও হওয়ার বিষয়টি আলোচনায় আসার পর থেকেই কর্মস্থলে অনুপস্থিত ছিলেন অসিম। সম্প্রতি ডাচ-বাংলা ব্যাংকের ২৩১টি এটিএম বুথ থেকে বিশেষ কায়দায় টাকা আত্মসাৎ করা হয়।
৬ মার্চ এই ঘটনায় ৮ জনকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। সেদিন দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা একটি সংঘবদ্ধ চক্র। তারা গত ২/৩ বছর এক সঙ্গে চাকরি করার সুবাদে পরিচিত হন। একপর্যায়ে তারা সমমনাদের নিয়ে একটি সিন্ডিকেট তৈরি করেন। আব্দুর রহমান চক্রটির মূলহোতা। তিনি তার এক সাবেক সহকর্মীর কাছ থেকে বিষয়টি রপ্ত করেন বলে জানান। অন্য সহযোগীরা কন্ট্রোল রুম, লোডিং, কলিং এবং মেইনটেন্যান্সের দায়িত্ব পালন করেন। তারা ব্যাংকের এটিএম বুথে টাকা স্থাপন ও মনিটরিং কাজে নিযুক্ত ছিলেন। তারা ঢাকা শহরের ২৩১টি এটিএম বুথের মেশিনে টাকা লোড করেন। এই ২৩১টি এটিএম বুথে টাকা স্থাপনের জন্য ১৯ জন লোডার নিযুক্ত রয়েছে; যারা প্রয়োজনে বিভিন্ন স্থানে অর্থ পৌঁছে দেয়। এছাড়া টেকনিক্যাল এক্সপার্ট, কারিগরি সংক্রান্ত বিষয়ে বেশ কয়েকজন নিয়োজিত থাকত।
তিনি আরো বলেছিলেন, চক্রটি লোডিং ট্রে-তে টাকা রাখার সময় ১৯টি ১০০০ টাকার নোটের পরপর অথবা অন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা ইচ্ছাকৃতভাবে জ্যাম করে রাখত। কোনো ক্লায়েন্ট এটিএম বুথে টাকা উত্তোলনের জন্য এটিএম কার্ড প্রবেশ করিয়ে গোপন পিন নম্বর দিয়ে কমান্ড করলে ওই পরিমাণ টাকা ডেলিভারি না হয়ে পার্সবিনে জমা হতো। পরে সেই টাকা সরিয়ে নিতো চক্রের সদস্যরা। এক্ষেত্রে মেশিনের একটি কৌশল অবলম্বন করে তারা টাকাগুলো আত্মসাৎ করত।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন