জাতীয় পর্যায়ে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ১১ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ২০২২ সালের স্বাধীনতা পুরস্কার প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। স্বাধীনতা পুরস্কার দেশের সর্বো”” রাষ্ট্রীয় বেসামরিক পুরস্কার। আগামী ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে সরকার ১৯৭৭ সাল থেকে প্রতি বছর এ পুরস্কার দিয়ে আসছে।
গতকাল মঙ্গলবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে মনোনীতদের তালিকা দিয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। মনোনীতরা হলেন, স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ ক্ষেত্রে বীর মুক্তিযোদ্ধ ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী, শহীদ কর্নেল খন্দকার নাজমুল হুদা (বীর বিক্রম), আব্দুল জলিল, সিরাজ উদ্দীন আহমেদ, মরহুম মোহাম্মদ ছহিউদ্দিন বিশ্বাস ও মরহুম সিরাজুল হক পুরস্কার পাবেন। চিকিৎসাবিদ্যায় অবদানের জন্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া ও অধ্যাপক ডা. মো. কামরুল ইসলাম স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছেন। সাহিত্য ক্ষেত্রে অবদানের জন্য মরহুম মো. আমির হামজাকে মনোনীত করেছে সরকার। স্থাপত্য ক্ষেত্রে মরহুম স্থপতি সৈয়দ মাইনুল হোসেনকে স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে। আর গবেষণা ও প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে অবদানের জন্য বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউটকে স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়া হবে।
২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে সরকার ১৯৭৭ সাল থেকে প্রতি বছর এ পুরস্কার দিয়ে আসছে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের জন্য বর্তমানে স্বাধীনতা পুরস্কার, একুশে পদক, বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার, বেগম রোকেয়া পদক, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ও জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার দিয়ে থাকে সরকার। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ প্রদত্ত বেসামরিক সর্বোচচ রাষ্ট্রীয় পুরস্কার হলো স্বাধীনতা পদক। অনন্য সব পুরস্কারের সঙ্গে ২০২১ সাল থেকে স্বাধীনতা পুরস্কার অর্থের পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ওই বছরের ২১ নভেম্বর রাষ্ট্রীয় বা জাতীয় পুরস্কারের অর্থের পরিমাণ বৃদ্ধি করে সংশোধিত জাতীয় পুরস্কার/পদক সংক্রান্ত নির্দেশাবলী প্রকাশ করে।
সরকারের এই নির্দেশনা অনুযায়ী, স্বাধীনতা পুরস্কারের ক্ষেত্রে প্রত্যেক ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানকে ৫ লাখ টাকা দেওয়া হচ্ছে। আগে দেওয়া হতো ৩ লাখ টাকা। পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান পাবেন ১৮ ক্যারেট মানের পঞ্চাশ গ্রাম স্বর্ণের পদক, পদকের একটি রেপ্লিকা ও একটি সম্মাননাপত্র। সর্বশেষ ২০২১ সালে ৯ ব্যক্তি ও একটি প্রতিষ্ঠানকে স্বাধীনতা পুরস্কার দিয়েছিল সরকার।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন