শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মহানগর

সাবেক প্রেসিডেন্ট শাহাবুদ্দিন আহমেদের দ্বিতীয় জানাজা সম্পন্ন

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২০ মার্চ, ২০২২, ১১:১৬ এএম

সাবেক প্রেসিডেন্ট বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদের দ্বিতীয় নামাজে জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সুপ্রিম কোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ মাঠে দ্বিতীয় জানাজা সম্পন্ন হয়। এখন বনানী কবরস্থানে দাফন করা হবে সাবেক এই রাষ্ট্রপতিকে। ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল সকাল ১০টা ২৫ মিনিটে তিনি শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯২ বছর। গতকাল শাহাবুদ্দিন আহমেদের প্রথম নামাজে জানাজা তার নেত্রকোনোর কেন্দুয়ায় গ্রামের বাড়িতে সম্পন্ন হয়। শনিবার বিকাল ৪টায় কেন্দুয়া উপজেলার পাইকুড়া ইউনিয়নের পেমই গ্রামের বাড়িতে প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

নব্বইয়ের আন্দোলনে স্বৈরশাসক এইচ এম এরশাদ সরকারের পতনের নাটকীয়তার মধ্যে আকস্মিকভাবে রাষ্ট্রপ্রধানের দায়িত্বে আসেন তৎকালীন প্রধান বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ। এরশাদ পদত্যাগ করার পর প্রেসিডেন্টের পদে কে আসবেন, নির্বাচন পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান কে থাকবেন- সেই প্রশ্নে আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া দলগুলো (তিন জোট) একমত হতে পারছিল না। পরে প্রধান বিচারপতিকে সেই দায়িত্ব দেওয়ার বিষয়ে সমঝোতা হয়। আবার সুপ্রিম কোর্টে ফেরার শর্তে শাহাবুদ্দিন আহমেদ তাতে রাজি হন। মওদুদ আহমদ উপরাষ্ট্রপতির পদ থেকে ইস্তফা দিলে সে দায়িত্বে আসেন শাহাবুদ্দিন আহমেদ। ৬ ডিসেম্বর এরশাদ ক্ষমতা ছাড়লে তিনি হন রাষ্ট্রপতি। পরে তার নেতৃত্বাধীন নির্দলীয় সরকারের অধীনে ১৯৯১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয়। নির্বাচনের পর আবার প্রধান বিচারপতির পদে ফেরেন তিনি। তার সেই ফেরার জন্য দেশের সংবিধানেও পরিবর্তন আনতে হয়েছিল। চাকরির মেয়াদ শেষে ওই পদ থেকেই অবসরে যান তিনি।

বাংলাদেশের ষষ্ঠ প্রধান বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদের জন্ম ১৯৩০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার পেমই গ্রামে। তার বাবার নাম তালুকদার রিসাত আহমদ। শাহাবুদ্দিন আহমেদ ১৯৪৫ সালে নান্দাইলের চণ্ডীপাশা উচ্চবিদ্যালয় থেকে ম্যাট্রিক এবং ১৯৪৮ সালে কিশোরগঞ্জের গুরুদয়াল কলেজ থেকে আইএ পাস করার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৫১ সালে অর্থনীতিতে বিএ (অনার্স) ও ’৫২ সালে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে মাস্টার্স ডিগ্রি নেন তিনি। ’৫৪ সালে পাকিস্তান সিভিল সার্ভিসের (সিএসপি) প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে কর্মজীবন শুরু হয় শাহাবুদ্দিন আহমেদের। ’৬০ সালে প্রশাসন থেকে বিচার বিভাগে বদলি হন তিনি। ’৬৭ সালে ঢাকা হাই কোর্টের রেজিস্ট্রার হিসেবে নিয়োগ পান শাহাবুদ্দিন। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ’৭২ সালে হাই কোর্টের বিচারক নিযুক্ত হন। ’৮০ সালে তিনি আপিল বিভাগে বিচারকের দায়িত্ব পান। এর এক দশক পর ’৯০ সালের জানুয়ারিতে প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নেন তিনি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
Yousman Ali ২০ মার্চ, ২০২২, ১১:২৭ এএম says : 0
আল্লাহ তাকে জান্নাতবাসী করুণ আমিন
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন