চট্টগ্রাম ব্যুরো : মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী বলেছেন চট্টগ্রাম বন্দর পাঁচ জন লুটেরা ও ডাকাতের হাতে জিম্মি হয়ে পড়েছে। এরা চট্টগ্রাম বন্দরকে মাফিয়া চক্রের ঘাঁটিতে পরিণত করেছে।
তারা বন্দরের প্রাণশক্তি শ্রমিক কর্মচারীদের শোষণ করছে এবং ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করছে। তিনি গতকাল (বুধবার) বন্দরের ৫নং জেটি গেইট সংলগ্ন প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত এক বিশাল শ্রমিক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন। তিনি আরো বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরের অভ্যন্তরে শ্রমিকবান্ধব পরিবেশ নেই। এমনকি নিরাপত্তাও নেই। এক কথায় চট্টগ্রাম বন্দর অরক্ষিত। এখানে শ্রমিকদের জন্য বিশ্রামাগার নেই, পর্যাপ্ত পানি নেই, শৌচাগারও নেই। এই অবস্থায় চট্টগ্রাম বন্দরে এক শ্রেণীর লুটেরাদের অনৈতিক দুর্বৃত্তায়ন চলছে। এতে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে এবং রাজস্ব আদায় বিঘিœত হচ্ছে।
তিনি ডক শ্রমিক, মার্চেন্ট শ্রমিক, স্টিভিডিউরিং স্টাফ ও ল্যাসিং-আনলাসিং শ্রমিক প্রতিনিধিদের সাথে ডক বন্দর শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশন ও বন্দর কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট মালিকপক্ষের সাথে ইতোপূর্বে সম্পাদিত সমঝোতা স্মারকচুক্তির শর্তসমূহ জরুরি ভিত্তিতে বাস্তবায়ন করার দাবি জানান। এ ছাড়া ইতোপূর্বে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রদত্ত সার্কুলার অনুযায়ী সংখ্যা নির্ধারণ পূর্বক কর্মরত উইন্সম্যান বা ক্রেন অপারেটরদেরকে বন্দরের শ্রম শাখায় অর্ন্তভূক্ত করে অন্যান্য শ্রমিক কর্মচারীদের ন্যায় সকল প্রকার সুযোগ সুবিধা প্রদানের আহ্বান জানান।
শ্রমিক নেতা আবদুল আহাদের সভাপতিত্বে ও হাজী মো: হাসানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত শ্রমিক সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সমাবেশে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগেরসহ সভাপতি খোরশেদ আলম, মহানগর আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক হাজী জহুর আহমদ, শ্রমিক নেতা ইসকান্দর মিয়া, মীর নওশাদ, হাজী মো: নাছির, মনোয়ার আলী, মো: সোহেল, মো: নাছির প্রমুখ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন