পাঁচ উইকেটের দেখা পেয়েছিলেন নিজের অভিষেক ম্যাচে। সেটিও সেই ২০১৪ সালে। মাঝে পেরিয়ে গেছে ৮ বছর আর ৪৭ ম্যাচ। অবশেষে আরেকটি ফাইফারের দেখা পেলেন তাসকিন আহমেদ।
সময়ের ব্য্যবধানে দেখেছেন অনেক উত্থান-পতন। পোড় খেয়ে সেই তাসকিন এখন আরও পরিণত। ক্যারিয়ারের সেরা ফর্মে আছেন বললেও ভুল হবে না। কয়েকদিন ধরেই বলছিলেন- বাংলাদেশকে ম্যাচ জেতাতে চান। সেই উপলক্ষ্য পেয়ে গেলেন দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে। মাত্র ৯ ওভার হাত ঘুরিয়ে ৩৫ রানে নিয়েছেন ক্যারিয়ারে নিজের দ্বিতীয় ৫ উইকেট। প্রোটিয়ারাও গুটিয়ে যায় মাত্র ১৫৪ রানে। মাত্র এক উইকেট হারিয়ে ম্যাচটি জিতে প্রথম বারেরমতো দক্ষিণ আফ্রিকায় সিরিজ জয়ের উল্লাসে মাতে তামিম ইকবালের দল। তিন ম্যাচেই নিজের সেরা ছন্দে থাকা তাসকিন হয়েছেন ম্যাচসেরা, প্রথমবারের মতো হয়েছেন সিরিজসেরাও। পুরস্কার বিতরণীর মঞ্চে তাসকিন জানান, স্বভাবজাত বোলিংয়েই হয়েছেন সফল। তিনি বলেন, ‘আমি খুবই খুশি। প্রক্রিয়া আর মৌলিক বিষয়গুলো ঠিক রেখেছি। বাস্তবায়ন করতে পেরেছি ভালোভাবে। আলহামদুলিল্লাহ আমি খুশি।’
দেশে নিজেদের পছন্দসই উইকেট খুব একটা পান না। দক্ষিণ আফ্রিকায় পেস বান্ধব উইকেট পেয়ে বৈচিত্র্য আনারও চেষ্টা করেছেন। তবে সবচেয়ে বেশি কৃতিত্ব দিলেন নিজের চেষ্টা আর বিশ্বাসকে, ‘কিছু বলে বাড়তি বাউন্স পেয়েছি। তবে লাইন-লেন্থ ঠিক রেখে পরিকল্পনা বাস্তবায়নে মনোযোগী ছিলাম। ক্রস, সেমিক্রসের মিশ্রণ দিয়ে একটু ভেরিয়েশন রাখার চেষ্টা করেছি। গত দেড়-দুই বছর ধরে একই কাজ করছি। প্রক্রিয়া অনুসরণ করে যাচ্ছি, সেই প্রক্রিয়ায় বিশ্বাস করছি এবং আমার মনে হয় এটাই সাফল্যের কারণ।’
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন