বগুড়ার চাঞ্চল্যকর ও ক্লুলেস সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্যকে প্রথমে ধর্ষণ ও পরে শ্বাসরোধে হত্যার ঘটনায় জড়িত খুনিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। তার নাম আবদুল লতিফ শেখ। তাকে গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে মুন্সীগঞ্জ সদর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। শুক্রবার কারওয়ান বাজার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইং পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
তিনি বলেন, গত বছর ১৮ সেপ্টেম্বর বগুড়ার একটি ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত মহিলা আসনের সদস্য নিখোঁজ হন। পরবর্তীতে ২২ সেপ্টেম্বর উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নের কুড়িগাঁতী গ্রামের একটি ইটভাটার পাশে গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় তার অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করা হয়।
ওই ঘটনায় ভিকটিমের ভাই বাদী হয়ে গত ২৩ সেপ্টেম্বর বগুড়ার ধুনট থানায় অজ্ঞাতনামা আসামি করে একটি মামলা করেন। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে গত ২৪ মার্চ র্যাব-১২ এর অভিযানে মুন্সীগঞ্জ থেকে মো. আব্দুল লতিফ শেখকে (৬০) গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে লতিফ হত্যাকাণ্ডে তার সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে তথ্য দিয়েছেন।
গ্রেপ্তার লতিফ শেখ প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানান, হত্যাকাণ্ডের প্রায় ৭ মাস আগে ইউনিয়ন পরিষদে কম্বল বিতরণের একটি অনুষ্ঠানে নিহত ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত মহিলা আসনের সদস্যের সঙ্গে পরিচয় হয়। পরবর্তীতে লতিফ ঘনিষ্ঠতার চেষ্টা করেন। এ সময় তারা ইউনিয়ন পরিষদ ও আশেপাশের এলাকায় বিভিন্ন সময় দেখা করেন। গত ১৮ সেপ্টেম্বর গ্রেপ্তার লতিফ কৌশলে ইউপি সংরক্ষিত মহিলা আসনের সদস্যের ধুনটের মথুরাপুর এলাকার একটি ইট ভাটার পাশে নির্জন স্থানে নিয়ে যান। সেখানে কৌশলে ভিকটিমকে পানীয়ের সাথে মিশিয়ে চেতনানাশক ওষুধ খাইয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। এ সময় ভিকটিম তাকে বাধা দেন। একপর্যায়ে লতিফ তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন। পরবর্তীতে ধর্ষণের বিষয়টি পরিবার এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানিয়ে দিলে লতিফকে কারাভোগ করতে হতে পারে এমন শঙ্কায় গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ওই নারীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। পরে লাশ ইটভাটার পাশে রেখে পালিয়ে যান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন