কাতারে তালেবানের সাথে পরিকল্পিত আলোচনা বাতিল করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির মূল অর্থনৈতিক সমস্যাগুলো সমাধানের জন্য নির্ধারিত একটি বৈঠকে বসার আগে আফগানিস্তানের শাসক গোষ্ঠী মেয়েদের মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ফিরে যাওয়ার অনুমতি প্রত্যাহার করায় তারা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বাতিলকরণটি ছিল প্রথম দৃঢ় সংকেত যে, সাম্প্রতিক তালেবানের মানবাধিকার এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক পদক্ষেপগুলো সরাসরি গোষ্ঠীটিকে সাহায্য করার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ইচ্ছাকে প্রভাবিত করতে পারে, যাদের কিছু নেতা মার্কিন নিষেধাজ্ঞার অধীনে রয়েছে। শুক্রবার স্টেট ডিপার্টমেন্টের একজন মুখপাত্র বলেছেন, ‘মঙ্গলবার আমরা নারী ও মেয়েদের মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ফিরে যেতে না দেওয়ার তালেবানের সিদ্ধান্তে আমাদের গভীর হতাশা প্রকাশ করে লাখ লাখ আফগান পরিবারের সাথে যোগ দিয়েছি’। ‘আমরা দোহা [কাতারের রাজধানী] ফোরামের আশেপাশে পরিকল্পিত মিটিংসহ আমাদের কিছু ব্যস্ততা বাতিল করেছি এবং স্পষ্ট করেছি যে, আমরা এ সিদ্ধান্তটিকে আমাদের ব্যস্ততার একটি সম্ভাব্য টার্নিং পয়েন্ট হিসাবে দেখছি’। বুধবার তালেবান মেয়েদের জন্য মাধ্যমিক বিদ্যালয় খোলার তাদের পূর্বের প্রতিশ্রুতি থেকে পিছিয়ে যাওয়ার পরে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, এই বলে যে, তাদের পুনরায় খোলার পরিকল্পনা না করা পর্যন্ত স্কুল বন্ধ থাকবে। তালেবানের এ পদক্ষেপ অনেককে হতবাক করেছে, ছাত্রদের কান্নায় ভাসিয়েছে এবং রাজধানী কাবুলে মেয়েদের ছোট বিক্ষোভের জন্ম দিয়েছে। এটি মানবিক সংস্থা এবং বিদেশী সরকারের নিন্দাও জুগিয়েছে। মুখপাত্র বলেছেন, ‘তালেবানের এ সিদ্ধান্ত যদি দ্রুত পরিবর্তন না করা হয় তাহলে তা আফগান জনগণ, দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সাথে তাদের সম্পর্ক উন্নত করার তালেবানের উচ্চাকাক্সক্ষার জন্য গভীরভাবে ক্ষতি করবে’। বৃহস্পতিবার এক যৌথ বিবৃতিতে যুক্তরাজ্য, কানাডা, ফ্রান্স, ইতালি, নরওয়ে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং সেইসাথে ইউরোপীয় ইউনিয়নের উচ্চ প্রতিনিধি বলেছেন, তালেবানের সিদ্ধান্ত বৈধতার জন্য গোষ্ঠীর সম্ভাবনাকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।
আল-জাজিরা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন