৯৪তম অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ডস অনুষ্ঠানে ১০টি মনোনয়নের মধ্যে ছয়টি পুরস্কার জয় করে স্পষ্টতই এগিয়ে আছে ‘ড্যুন’। ফ্র্যাঙ্ক হার্বার্টের ১৯৬৫তে প্রকাশিত বিজ্ঞানকল্প উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত ‘ড্যুন’ ডেভিড লিঞ্চের ফিল্মের রিমেক। ১০টি অস্কার মনোনয়ন পেয়েছিল ফিল্মটি। অন্যদিকে ওয়েস্টার্ন সাইকোলজিকাল ড্রামা ‘দ্য পাওয়ার অফ দ্য ডগ’ ১২টি মনোনয়ন পেয়ে একটি অস্কার জয় করেছে।
সেরেনা-ভেনাস উইলিয়ামস বোনদের বাবা ও প্রশিক্ষক রিচার্ডের ভূমিকায় বায়োপিক ‘কিং রিচার্ড’-এ অভিনয়ের জন্য অভিনেতার অস্কার পেয়েছেন উইল স্মিথ; মজার ব্যাপার হল গত সন্ধ্যায় তিনি একই ভূমিকার জন্য র্যাযিস পেয়েছেন। আরেক বায়োপিক ‘দি আইজ অফ ট্যামি ফেই’তে গায়িকা টামারা (ট্যামি) ফেই মেসনারের ভূমিকায় অভিনয় করে অভিনেত্রী বিভাগে অস্কার পেয়েছেন জেসিকা চ্যাস্টেইন।
সম্পাদনা এবং সাউন্ড মিক্সিংকে এক করে গতবারও সেরা সাউন্ড বিভাগে অস্কার দেয়া হয়েছে।
৮ ফেব্রুয়ারি অস্কার মনোনয়ন ঘোষণা করেন দুই অভিনয়শিল্পী ট্রেসি এলিস রস এবং লেসলি জরডান পুরো অনুষ্ঠানটি বিশ্বব্যাপী লাইভস্ট্রিম করা হয়। এবারের অস্কারের প্রধান তিন উপস্থাপক ছিলেন রেজিনা হল, এমি শুমার এবং ওয়ান্ডা সাইকস। হলিউডের সুপরিসর ডলবি থিয়েটারে আজ (সোমবার) বাংলাদেশ সময় সকাল ৭টা (যুক্তরাষ্ট্রে রবিবার প্যাসিফিক মান সময় বিকাল ৫টা, ২৭ মার্চ) থেকে শুরু হয় অস্কার নামে সমধিক পরিচিত অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ডস। ২০২১-এর ১ মার্চ থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত যেসব চলচ্চিত্র থিয়েটারে স্ট্রিমিংয়ের মাধ্যমে মুক্তি পেয়েছে সেগুলোও এবারের অস্কারে যোগ্য বলে বিবেচিত হয়েছে।
এবারের জিন হার্শল্ট হিউম্যানিটারিয়ান অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন অভিনেতা ড্যানি গ্লাভার।
এবিসি নেটওয়ার্ক ৯৪তম অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ডস অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করেছে।
যারা বা যে চলচ্চিত্র অস্কার পেয়েছে
সেরা চলচ্চিত্র : ‘কোডা’।
শ্রেষ্ঠ পরিচালক : জেইন ক্যাম্পিয়ন (‘দ্য পাওয়ার অফ দ্য ডগ’)।
শ্রেষ্ঠ অভিনেতা : উইল স্মিথ (‘কিং রিচার্ড’)।
শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী : জেসিকা চ্যাস্টেইন (‘দি আইজ অফ ট্যামি ফেই’)।
শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতা : ট্রয় কোটসার (‘কোডা)।
শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী : এরিয়ানা ডিবোস (‘ওয়েস্ট সাইড স্টোরি’)।
চিত্রনাট্য (সংগৃহীত) : ‘কোডা’ (সিয়ান হেডার, ‘লা ফ্যামি বেলিয়ে’ অবলম্বনে)।
চিত্রনাট্য (মৌলিক) : ‘বেলফাস্ট’ (কেনেথ ব্র্যানা)।
সেরা পূর্ণদৈর্ঘ্য এনিমেটেড চলচ্চিত্র : ‘এনকান্তো’।
সিনেমাটোগ্রাফি : ‘ড্যুন’ (গ্রেগ ফ্রেজার)।
কস্টিউম ডিজাইন : জেনি বিভান (‘ক্রুয়েলা’)।
পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রামাণ্য চলচ্চিত্র : ‘সামার অফ সোল (.. . অর হোয়েন দ্য রেভোলিউশন কুড নট বি টেলিভাইজড)’
স্বল্পদৈর্ঘ্য প্রামাণ্য চলচ্চিত্র : ‘দ্য কুইন অফ বাস্কেটবল’।
চলচ্চিত্র সম্পাদনা : ‘ড্যুন’ (জো ওয়াকার)।
সেরা চলচ্চিত্র (বিদেশী ভাষা) : ‘ড্রাইভ মাই কার’ (জাপান, পরিচালক- টমাস ভিন্তিবের)।
মেকআপ ও হেয়ারস্টাইলিং : লিন্ডা ডাউডস, স্টেফানি ইনগ্রাম, জাস্টিন র্যালি (‘দি আইজ অফ টমি ফেই’)।
সেরা মৌলিক যন্ত্রসঙ্গীত : ‘ড্যুন’ (হান্স জিমার)।
সেরা মৌলিক কণ্ঠসঙ্গীত : ‘নো টাইম টু ডাই’ (চলচ্চিত্র- ‘নো টাইম টু ডাই’; সুর ও কণ্ঠ- বিলি আইলিশ এবং ফিনিয়াস ও’কনেল)।
শিল্প নির্দেশনা : ‘ড্যুন’ (প্যাট্রিস ভার্মেট, সুজানা সিপোস)।
স্বল্পদৈর্ঘ্য এনিমেটেড চলচ্চিত্র : ‘দ্য উইন্ডশিল্ড ওয়াইপার ’।
স্বল্পদৈর্ঘ্য লাইভ অ্যাকশন চলচ্চিত্র : ‘লং গুডবাই’ (রিজ আহমেদ এবং অনীল কারিয়া)।
সেরা সাউন্ড : ম্যাক রুথ এবং অন্যরা (‘ড্যুন’)।
ভিজুয়াল ইফেক্ট্স : ‘ড্যুন’ (পল ল্যামবার্ট, ট্রিস্টান মাইলস, ব্রায়ান কনর এবং জার্ড নেফজার)।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন