কবির হোসেন, কাপ্তাই (রাঙ্গামাটি) থেকে
কাপ্তাই উপজেলার চিৎমরমবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি ক্যাৎঘাট এলাকার কর্ণফুলী নদীর ওপর একটি সেতু নির্মাণ করা হলে দীর্ঘ পঞ্চাশ বছরের দাবি বাস্তবায়ন হবে এবং যাতায়াত ক্ষেত্রে এলাকার উন্নয়নে সাফল্য বয়ে আনবে। তিন পার্বত্য চটগ্রামের মধ্যে রাঙ্গামাটি জেলার কাপ্তাই উপজেলার চিৎমর বৌদ্ধ মন্দির সকলের নিকট অতি পরিচিত স্থান লাভ করেছে। বছরে প্রায় ৪/৫টি বড় অনুষ্ঠান জাঁকজমকপূর্ণভাবে এখানে পালন করা হয়ে থাকে। এর মধ্যে সব চেয়ে বড় অনুষ্ঠান চৈত্র মাসের সংগ্রাই উৎসব (অর্থাৎ পানি খেলা) এ অনুষ্ঠান দেখার জন্য এবং উপভোগ করার জন্য দেশ-বিদেশের হাজার হাজার লোকের সমগোম হয়ে থাকে। কিন্তু অতি দুঃখের বিষয় হল চিৎমরম হতে ক্যাংঘাট কোন সেতু না থাকায় এলাকার উন্নয়ন ব্যাহত হয়ে পড়েছে। সামান্য একটি সেতু না থাকার ফলে এলাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শিক্ষার্থী, চাকরিজীবী, ব্যবসা এবং উন্নয়ন ক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়েছে বলে এলাকার লোকজন মত প্রকাশ করে। এপার ওপারের একমাত্র বাহন হল নৌকা-সাম্পান। যা সব সময় মৃত্যু ঝুঁকি নিয়ে প্রতিনিয়ত চলাচল করে। শিক্ষার্থী, চাকরিজীবীরা ও জরুরি কোন রোগী সঠিক সময় মত কাপ্তাইয়ে পৌঁছাতে না পাড়ায় বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত। সঠিক সময় নৌকা সাম্পান না পেয়ে এবং জরুরি ভিত্তিতে পাড় হতে না পেড়ে অনেক গর্ভবতী রোগী মারা যায়। যার মধ্যে ক্রওয়াই মামা, আনুচং মারমাসহ আরো অনেকেই অপেক্ষা করে মৃত্যুরণ করার অভিযোগ পাওয়া যায়। গত কয়েক বছর পূর্বে বাংলাদেশ বন শিল্প উন্নয়ন চেয়ারম্যান ও সচিবের আত্মীয় নিয়ে মন্দ্রিরে যাওয়ার পথে নৌকা কর্ণফুলী নদীতে ডুবে তিনজন মারা যায়। এছাড়া প্রতিনিয়ত হরহামেশা ও দুর্ঘটনা ঘটেই চলছে। এলাকার মোঃ জয়নাল অবেদীন, ইয়াছিন, নাছির, ইউপি সদস্য আব্দুর রাজ্জাক, সামশুল আলম (সাবেক ইউপি (সদস্য), রুমিনা, উসাংমে মারমা, মালেক ভূইয়া, শামসুল হক এরা বলেন, কাপ্তাই বাঁধের পানি বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে স্প্রীলের পানি ছাড়ার পর কর্ণফুলী নদীর মধ্যে দিয়ে প্রবল স্রোত বয়ে যায়। এতে করে আমরা কোন রকম যাতায়াত করতে পারি না। যার ফলে আমাদের সকল ধরনের কাজ কর্ম স্কুল-কলেজ পড়ুুয়া শিক্ষার্থীদের পড়ালেখা ব্যাহত হচ্ছে। তাই আমাদের এবং আমাদের বাব-দাদারও দাবি ছিল কাপ্তাই চিৎমর ক্যাং ঘাট নদীর এপার ওপার একটি সেতু করার। প্রধানমন্ত্রী আমাদের দিকে একটু সুনজরে তাকালে এটি বাস্তবায়ন করা সম্ভাব বলে এলাকার লোকজন দাবি করেন। পার্বত্য এলাকায় যাতায়াত ক্ষেত্রে ব্যাপক সাফল্য আর্জন করবে বলে এলাকার লোকজন মত প্রকাশ করে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন