বিবাহ বিচ্ছেদের পর খোরপোষের টাকা পাওয়ার অধিকার রয়েছে স্বামীরও। সম্প্রতি একটি মামলার পরিপ্রেক্ষিতে এমনই যুগান্তকারী রায় দিয়েছে বম্বে হাইকোর্ট। এক মহিলা শিক্ষককে তার অসহায় সাবেক স্বামীকে খোরপোষের টাকা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। কেন এমন রায় আদালতের? জানা গিয়েছে, ২০১৫ সালে বিবাহ বিচ্ছেদ হয় বম্বের বাসিন্দা এক শিক্ষিকার। বিচ্ছেদের দুবছর পর মহিলার স্বামী খোরপোষ চেয়ে লোকাল কোর্টে আবেদন জানান। ২০১৭-২০১৯ এর মধ্যে আদালত এই মামলায় ওই মহিলা শিক্ষককে স্বামীকে খোরপোষ দেয়ার নির্দেশ দেয়। এরপরই এই রায়ের বিরুদ্ধে বম্বে হাইকোর্টে আবেদন জানান মহিলা শিক্ষক। বম্বে হাইকোর্টের ঔরঙ্গাবাদ বেঞ্চের তরফে বিচারপতি ভারতী দাঙ্গরের পর্যবেক্ষণ, ওই শিক্ষিকার অবশ্যই উচিত তার অসহায় স্বামীকে খোরপোষের টাকা দেয়া। প্রাক্তন স্বামীকে মাসিক তিন হাজার টাকা করে দেয়ার যে নির্দেশ লোকাল কোর্ট দিয়েছিল, সেই রায়কেই বহাল রাখে বম্বে হাইকোর্ট। এখানেই শেষ নয়, লোকাল কোর্টের তরফে রায়দানে বলা হয়, শিক্ষিকার স্কুলের পক্ষ থেকে প্রতি মাসে পাঁচ হাজার টাকা করে বেতন থেকে কাটা হবে। ২০১৭ সাল থেকে খোরপোষের যে টাকা হয়, সেই বাবদ তা শোধ করতে হবে শিক্ষিকাকে। বিচারপতি ভারতী দাঙ্গরে হিন্দু বিবাহ আইনের ২৪ এবং ২৫ নম্বর ধারা উল্লেখ করে জানান, এই আইন অনুযায়ী অসহায় স্বামী কিংবা স্ত্রী দু›জনেরই বিবাহ বিচ্ছেদের পর খোরপোষ চাওয়ার অধিকার রয়েছে। এ ক্ষেত্রে মামলাকারী স্বামী জানিয়েছিলেন, বর্তমানে তিনি রোজগারহীন। অসুস্থ এবং কাজ করতে অক্ষম। বিবাহের পরই পড়াশোনা শেষ করে শিক্ষকতা শুরু করেছিলেন তার প্রাক্তন স্ত্রী। সে সময় স্ত্রীকে সাহায্যের জন্য বাড়ির সমস্ত কাজ করতেন তিনি। নিজের কোনও ইচ্ছাপূরণ করতে পারেননি। ফলে এ সময় তার অসহায়তায় খোরপোস প্রাপ্য বলেই দাবি শিক্ষিকার প্রাক্তন স্বামীর। অন্যদিকে, সম্প্রতি এক মহিলা তার স্বামীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনেছিলেন। সেই মামলাতেই কর্নাটক হাইকোর্ট তার পর্যবেক্ষণে বলে, ্রএকজন পুরুষ একজন পুরুষই, একটি আইন হল একটি আইন, ধর্ষণের অর্থও ধর্ষণই, যেটা একজন পুরুষ এক্ষেত্রে একজন স্বামী এক মহিলা এক্ষেত্রে তার স্বামীর সঙ্গে করেছেন।গ্ধ এই মামলায় প্রাথমিকভাবে অভিযোগকারিণীর পাশে দাঁড়িয়েছে আদালত। তার করা অভিযোগ এবং সেই সংক্রান্ত মামলা আদালতে গৃহীত হয়েছে। টিওআই।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন