র্যাংগস ইলেকট্রনিকস শো-রুম থেকে দামি ব্র্যান্ডের নামে নকল পণ্য ক্রয় করে প্রতারিত হওয়ার অভিযোগে আদালতে মামলা করেছেন একজন ভুক্তভোগি। এ ঘটনায় জড়িতদের বিচারের দাবিতে মানববন্ধনও করা হয়েছে। গতকাল বুধবার দুপুরে নোয়াখালী প্রেসক্লাবের সামনের সড়কে আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে ভুক্তভোগি ও স্থানীয় লোকজন অংশগ্রহণ করেন। এরআগে গতকাল সকালে আবদুল্লাহ আল মুকিত নামের একজন ভুক্তভোগি বাদী হয়ে জেলার চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ২ নং আমলি আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় র্যাংগস ইলেকট্রনিকসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) জে এম একরাম হোসেন’সহ ৬ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা জানান, সম্প্রতি জেলা শহর মাইজদীর র্যাংগসের পরিবেশক ‘হোসেন ইলেকট্রনিকস’ থেকে মালয়েশিয়ান কেলভিনেটর কেএসভি ৩৩৩ এফএফ মডেলের ফ্রিজ কেনেন তারা কয়েকজন। স্ব-স্ব বাড়িতে নেওয়ার পর ফ্রিজ খুলে দেখতে পান ফ্রিজে মালয়েশিয়ান তৈরি কোনো মনোগ্রাম নেই। পরবর্তীতে ফ্রিজে কিছু ত্রুটি দেখা দিলে শো-রুম কর্তৃপক্ষ কোনো প্রকার দায় নিতে চাননি। বিষয়টি র্যাংগস কর্তৃপক্ষকে জানানো হলেও তারা কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। মামলার বাদী আবদুল্লাহ আল মুকিত বলেন, র্যাংগসের বিরুদ্ধে একই ধরনের ঘটনায় কুমিল্লা ও ঢাকা’সহ বিভিন্ন জেলায় মামলা হয়েছে। মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী মো. নুর আলম জিকু বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এই কোম্পানী মানুষের কাছে নকল পণ্য দিয়ে আসছে। এরই প্রেক্ষিতে একজন ভুক্তভোগী এসে আদালতে মামলার আবেদন করেন। পরে বিচারক মো. ইমদাদ হোসেন মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেন।
অভিযোগের বিষয়ে র্যাংগস অনুমোদিত পরিবেশক ‘হোসেন ইলেকট্রনিকস’ পরিচালক কাজী মোজাম্মেল হোসেন জানান, ফ্রিজের সমস্যার বিষয়ে ওই গ্রাহকরা আমাকে অবগত করার পর আমি বিষয়টি কোম্পানীকে অবগত করেছি। পরবর্তীতে তারা সার্ভিস সেন্টার থেকে কি সেবা নিয়েছে তা আমার জানা নেই। আমার শো-রুমে কোনো নকল পণ্য বিক্রি করা হয় না। যদি কোম্পানী থেকে আসলের পরিবর্তে নকল পণ্য দেওয়া হয় তাহলে তো গ্রাহকের সাথে সাথে আমরাও প্রতারিত হচ্ছি। র্যাংগস নোয়াখালীর এরিয়া ম্যানেজার ও মামলার আসামি ফরিদ উদ্দিন ইমাম বলেন, আমি গত ফেব্রুয়ারিতে র্যাংগসের চাকরি ছেড়ে দিয়েছি। গ্রাহকদের এসব অভিযোগ সম্পর্কে আমি কিছুই জানিনা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন