সিরাজগঞ্জ জেলার ৯টি উপজেলায় দিন দিন কমেছে আবাদি জমি। বাড়ছে গো-খাদ্য সংকট। একই সঙ্গে বাড়ছে গো-খাদ্যের দাম। ফলে বিপাকে পড়েছে গবাদি পশু খামারিরা। উপজেলার বিভিন্ন আবাদি জমি বর্গা বা লিজ নিয়ে বিভিন্ন ধরনের মুরগির খামার, নতুন নতুন বাড়ি তৈরির কারণেই আবাদি জমিগুলো দিন দিন কমে যাচ্ছে। ফলে উৎপাদনের চেয়ে বেড়েছে চাহিদার পরিমাণ। বাড়ছে গো-খাদ্যের দাম। ফলে গবাদি পশু নিয়ে বিপাকে পড়েছে খামারিরা। উপজেলার অধিকাংশ এলাকা ঘুরে জানা যায়, নিম্ন আয়ের প্রায় প্রতিটি পরিবার গবাদি পশু পালন করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। আবার অনেকেই গবাদি পশুর ছোট ছোট খামারও গড়ে তুলেছেন। এ সব গবাদি পশুর জন্য খাদ্য হিসেবে মণ দরে খড় কিনতেও দেখা গেছে অনেক কৃষককে। সিরাজগঞ্জ জেলার রায়গঞ্জ, উল্লাপাড়া, শাহজাদপুর, চৌহালী, কাজীপুর, কামারখন্দ, বেলকুচি ঘুরে ঘুরে জানাগেছে এতথ্য পাওয়া গেছে। গো-খাদ্য হিসেবে খড়ের চাহিদা বাড়ায় উপজেলার বিভিন্ন বাজারে মৌসুমি কয়েকজন ব্যবসায়ী ইতিমধ্যেই খড় বিক্রি শুরু করে দিয়েছেন।
তারা পাশ্ববর্তী বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে খড়ের স্তুপ কিনে মণ দরে অথবা ছোট ছোট আঁটি তৈরি করে স্থানীয় বাজারে বিক্রি করছেন। এমনিতে খড়ের দাম আকাশচুম্বি, তার ওপর ভুষি, চালের গুড়াসহ বিভিন্ন দানাদার গো-খাদ্যের দামও লাগামহীনভাবে বেড়েই চলেছে, প্রতি কেজি ভুষি, ৪৫ থেকে ৪৬ টাকা, ধানের গুঁড়া প্রতি কেজি ১৫ থেকে ১৮ টাকা, খুঁঁদ প্রতি কেজি, ৩০ থেকে ৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। উপজেলার বড় খামারিরা ঘাসের চাষ করলেও ক্ষুদ্র খামারিরা গো-খাদ্য নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছে। খামার ধরে রাখতে চড়া দামে খড় কিনতে বাধ্য হচ্ছেন তারা। এমতাবস্থায় দানাদার খাদ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে বাজার মনিটরিংসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছেন উপজেলার ক্ষুদ্র গবাদিপশু খামারিরা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন